কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের হিসাব জানাল, গত মাসে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় নেমে হয়েছে ৪.৮৫%। যা পাঁচ মাসে সব থেকে কম। ফেব্রুয়ারির শিল্পবৃদ্ধিও ৫.৭% ছুঁয়ে চার মাসে সর্বোচ্চ। তবু দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মিলল না বলেই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। যার কারণ প্রধানত—
- খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এখনও ৮ শতাংশের উপরে (৮.৫২%)। মার্চেও আনাজের দর বেড়েছে ২৮%।
- যেখানে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়, সেই কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির হার আগের বছরের ৫.৯% থেকে কমে হয়েছে ৫%।
- দেশে লগ্নি বাড়লে যে মূলধনী পণ্যের উৎপাদন বাড়ে, তার বৃদ্ধিও ১১% থেকে নেমে গিয়েছে ১.২ শতাংশে। কমেছে বিদ্যুতে বৃদ্ধিও। আর উৎপাদন সঙ্কুচিত দৈনন্দিন ভোগপণ্যগুলিতে।
পরিসংখ্যান মন্ত্রক বরাবর মূল্যবৃদ্ধি এবং শিল্পবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ করে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। কিন্তু শুক্রবার তা হয়নি। অর্থনীতিবিদদের একাংশ যাকে বলছেন, ‘অভূতপূর্ব ঘটনা।’ এর ফলে জল্পনা ছড়ায়, পরিসংখ্যান এ দিন বেরোবেই না। সন্ধ্যে ছ’টারও পরে মন্ত্রক বেরনোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। শেষে তা প্রকাশিত হয় ৬.১১-এ। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, ভোটের মুখে বরাবরের নিয়মে এই বিচ্যুতি নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। তবে সরকারের তরফে বিলম্বের কারণ জানানো হয়নি।
এ দিন মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের সতর্কবার্তা, তাপপ্রবাহ পচনশীল পণ্যের (খাদ্যপণ্য) দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। একাংশের দাবি, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিও ঝুঁকির, যদি সেই বাড়তি খরচ দেশে জ্বালানির খুচরো দরে চাপে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)