বেশ কিছু দিন ধরেই দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের সংস্থাগুলির মুনাফা তলার দিকে রয়েছে। তারও আগে তারা লোকসানে ছিল। এ বার চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ এপ্রিল-জুনেও লাভ খুব বেশি বাড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। ম্যারিকো, ডাবর, গোদরেজের মতো সংস্থাগুলির মতে, তা থাকবে ৫-৮ শতাংশের আশেপাশে, ১০% পেরোবে না। তবে তাদের আশা, দ্রুত বর্ষা আসার ফলে গরম কমায় এবং মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে থাকায় জুলাই-সেপ্টেম্বরে, অর্থাৎ দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক ফল তুলনায় ভাল হতে পারে। লাভের হার বাড়বে।
চা, কফি, বিস্কুট থেকে তেল, সাবান, শ্যাম্পু— সাধারণ মানুষের রোজকার জীবন এমন হাজারো ভোগ্যপণ্য ছাড়া অচল। কিন্তু সমীক্ষা জানিয়েছিল, বেশ কিছু দিন ধরে সেগুলির বিক্রিবাটায় ভাটা। প্রায় সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার খরচ এতটাই চড়েছে যে, বাধ্য হয়ে এগুলিতে কাটছাঁট করছেন সাধারণ বা স্বল্প রোজগেরে নাগরিক। একাংশ বড়র বদলে কিনছেন ছোট মাপের মোড়ক। সব মিলিয়ে চাহিদা কমার ধাক্কায় সংস্থাগুলির আয় মার খাচ্ছে। কমছে লাভ।
গোদরেজ কনজিওমার্সের মতে জুন ত্রৈমাসিকেও মুনাফা তলার দিকেই থাকবে। তবে সামগ্রিক বিক্রির পরিমাণ বেশ খানিকটা বাড়তে পারে। ডাবরের দাবি, লাভের হার প্রায় ৭-৮ শতাংশ হতে পারে। এর মূল কারণ, দেশে তাড়াতাড়ি বর্ষা ঢুকে পড়ায় ঠাণ্ডা পানীয়ের বিক্রি অনেকটা কমেছে। তবে তাদের দাবি, খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তুলনায় ব্যবসা ভাল হয়েছে। তাই সর্বোচ্চ ৮% বৃদ্ধির আশা। আর এক সংস্থা ম্যারিকো জানিয়েছে, বেশ কিছু পণ্যের কাঁচামালের দাম বেশি থাকায় মুনাফা কমার আশঙ্কা। তবে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। অশোধিত তেল থেকে তৈরি কিছু পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে। তাই পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। শহরাঞ্চলের চাহিদার মাথা না তোলা নিয়ে হতাশ তারা। জানিয়েছে, এই সময় গ্রামীণ এলাকায় পণ্যের চাহিদা বাড়লেও শহরাঞ্চলে তা মোটের ওপর এক।
এই শিল্পের দাবি, গত অর্থবর্ষের শেষ দু’টি ত্রৈমাসিকে বাজারের যা অবস্থা ছিল, তার থেকে উন্নতি হয়েছে। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মুনাফা ১০ শতাংশের উপরে উঠতে পারে। এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)