Advertisement
E-Paper

মাল্যের বিরুদ্ধে জারি জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা

সমস্যার আরও গভীর জলে বিজয় মাল্য। সোমবার তাঁর নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। যার ভিত্তিতে এ বার ইন্টারপোল মারফত মাল্যের নামে শীঘ্রই রেড কর্নার নোটিস জারি করা হবে বলে জানিয়ে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৫৪

সমস্যার আরও গভীর জলে বিজয় মাল্য।

সোমবার তাঁর নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। যার ভিত্তিতে এ বার ইন্টারপোল মারফত মাল্যের নামে শীঘ্রই রেড কর্নার নোটিস জারি করা হবে বলে জানিয়ে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। একই সঙ্গে, তদন্তকারী সংস্থাটির বিরুদ্ধে করা কিংগ্‌ফিশার এয়ারলাইন্সের মামলাও খারিজ করে দিল আদালত। যেখানে বসে যাওয়া বিমান পরিবহণ সংস্থাটির দাবি ছিল, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ধারের প্রায় অর্ধেক টাকায় মাল্য বিদেশে সম্পত্তি কিনেছেন বলে যে অভিযোগ ইডি এনেছে, তা মিথ্যা।

অনেকের মতে, ইডি-র একের পর এক পদক্ষেপে তদন্তের ফাঁস শক্ত হয়ে বসছে প্রাক্তন কিংগ্‌ফিশার কর্ণধার মাল্যের উপর। প্রথমে তদন্তকারী সংস্থাটির আর্জি মেনে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্র। এক সপ্তাহের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর না-দিলে, হুমকি দিয়েছে তা বাতিল করার। ফলে সে ক্ষেত্রে এখনকার মতো একের পর এক সমন এড়িয়ে বিদেশে বসে থাকা কঠিন হবে তাঁর পক্ষে। ব্রিটেনের কাছে তাঁকে প্রত্যর্পণের দাবিও জানানো যেতে পারে। তার উপর এ বার ইডি-র আবেদন মেনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তদন্তের জন্য মাল্যকে যে কোনও সময় তলব করা যাবে। জারি হবে রেড কর্নার নোটিসও।

৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি ধার না-মিটিয়ে মাল্যের ভারত ছাড়া রুখতে ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ১৭টি ঋণদাতা ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়াম। কিন্তু ঠিক তার পরের দিনই, ৯ মার্চ, কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে, ২ মার্চ কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছেন মাল্য। এই মুহূর্তে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিপুল অঙ্কের ঋণ শোধ না-করা এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ধারের ৯৫০ কোটি টাকা বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচার করার অভিযোগে মামলা ঝুলছে মাল্যের বিরুদ্ধে। তাঁকে তিন-তিন বার সমন পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু তিনি হাজির হননি। বরং টুইটে দাবি করেছেন, তিনি দেশ ছেড়ে পালাননি। ইডি-র দাবি, সেই কারণেই আদালতের কাছে মাল্যের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আর্জি জানিয়েছিল তারা। তার ভিত্তিতেই আদালতের এই সিদ্ধান্ত।

আইডিবিআই ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ধারের টাকা নিয়ে তদন্তে নেমে ১৭ এপ্রিল ইডি জানিয়েছিল, ওই টাকার প্রায় অর্ধেকই (৪৩০ কোটি) বিদেশে সম্পত্তি কিনতে কাজে লাগিয়েছেন মাল্য। এ দিন সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল কিংগ্‌ফিশার এয়ারলাইন্স। তাদের দাবি ছিল, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। মাল্য বা তাঁর পরিবারের কেউ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ধারের টাকা খরচ করেননি। তা ঢালা হয়েছে ব্যবসার কাজে। এবং তা কখন, কোথায়, কী ভাবে খরচ করা হয়েছে, সেটির বিশদ বিবরণও দ্রুত আদালতের কাছে জমা দিতে তৈরি তারা। কিন্তু সংস্থার সেই আর্জি খারিজ করে মুম্বইয়ের বিশেয আদালত।

Vijay Mallya non bailable arrest warrant
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy