ফাইল চিত্র।
মোবাইলে অবাঞ্ছিত ও বেআইনি বাণিজ্যিক কলের দাপট রুখতে নিয়ন্ত্রক ট্রাইকে কড়া হাতে নিয়ম কার্যকরের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। নিয়ম ভাঙলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছে তারা। রিলায়্যান্স জিয়ো, এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়া এবং বিএসএনএল-কেও ওই নিয়ম কড়া ভাবে মেনে চলতে বলেছে বিচারের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ।
২০১৮ সালে অবাঞ্ছিত কল আটকানোর নিয়ম আনে ট্রাই। বাণিজ্যিক কল অর্থাৎ, কোনও পণ্য বা পরিষেবা প্রচারের জন্য ফোনে কাউকে তথ্য দিতে হলে পৃথক লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। এ জন্য আলাদা কোড-সহ তাদের নম্বর দেয় টেলিকম পরিষেবা সংস্থা। যাতে মোবাইল গ্রাহক সেই কোড দেখে বুঝতে পারেন বাণিজ্যিক কল। ফলে চাইলে ধরবেন, না-চাইলে ধরবেন না। কিন্তু অভিযোগ, অনেক সংস্থাই সেই লাইসেন্স এড়িয়ে সাধারণ মোবাইল নম্বর মারফত কল বা এসএমএস করছে। যে কারণে চট করে গ্রাহকেরাও বুঝতে পারছেন না যে সেটি বাণিজ্যিক প্রচারের কল। এ ভাবে বহু প্রতারণা চক্র অনেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যা ‘ফিশিং’ নামের সাইবার অপরাধ
বলে পরিচিত।
ট্রাইয়ের নিয়ম মেনে টেলি সংস্থাগুলির ওই অবাঞ্ছিত এবং বেআইনি ফোন ‘ব্লক’ করার কথা থাকলেও তা ঠিক মতো পালন করা হয় না, এই অভিযোগে পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশন দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট ট্রাই-কে ওই নির্দেশ দিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy