প্রতীকী ছবি।
দৌড়ের শেষ কোথায় তা বুঝে পাচ্ছেন না আমজনতা। রবিবারের পরে আজ, সোমবারও দেশের বাজারে বেড়েছে তেলের দাম। কলকাতায় পেট্রল লিটারে ৯৫ টাকা ছাড়িয়েছিল গতকালই। আজ ডিজেলও পেরিয়ে গেল ৮৯ টাকার গণ্ডি। এই পরিস্থিতিতে করোনার মধ্যে রুজি-রোজগারে টান পড়া মানুষকে শুল্ক কমিয়ে সুরাহা দিতে মোদী সরকার আর কত দিন অপেক্ষা করবে, সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে।
শুধু কলকাতা নয়, দেশের সর্বত্রই রেকর্ড গড়ছে তেল। ছ’টি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তো আগেই পেট্রল লিটারে ১০০ টাকা পেরিয়েছে। এমনকি রাজধানী দিল্লিতেও রবিবার তা ৯৫ টাকা ছাড়িয়ে নতুন নজির গড়েছে। ডিজেলও সেখানে প্রথমবার পেরিয়েছে ৮৬ টাকা। আজ কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে পেট্রল ২৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে লিটারে ৯৫.২৮ টাকা। ২৭ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে ডিজেল দাঁড়িয়েছে ৮৯.০৭ টাকা।
তেলের দাম বাড়ায় যাতায়াতের খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনই প্রভাব পড়ছে জিনিসের দামে এই অবস্থায় কেন্দ্রের তেলের দাম ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছু করা উচিত বলে শনিবারই জানিয়েছিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি ঘোষের মতে, তেলের দর এত চড়া থাকলে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।
কেন্দ্র অবশ্য তেলের চড়া দামের জন্য বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর বৃদ্ধি ও রাজ্যগুলির চড়া ভ্যাট-কেই দায়ী করেছে। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, মোদী জমানায় যে তেলে বিপুল শুল্ক বৃদ্ধিতে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের, সে কথা তারা বলছে না। বিশেষত গত বছরে করোনার মধ্যে যে ভাবে রেকর্ড শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মানুষ। একাংশের বক্তব্য, লকডাউন ও অর্থনীতি ঘিরে অনিশ্চয়তা যখন রুজিতে টান ফেলছে, তখন সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে শুল্ক থেকে বিপুল টাকা তুলেছে কেন্দ্র। তা হলে কেন এখন তা কমিয়ে কিছুটা সুরাহার ব্যবস্থা করছে না তারা।
তার উপরে বিশ্ব বাজারে ফের ব্রেন্ট ক্রুডের দাম গত সপ্তাহে ব্যারেলে ৭২ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দু’বছরে এতটা উচ্চতায় ওঠেনি এই দর। ফলে আগামী দিনে দেশে জ্বালানির দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়েই মাথাব্যথা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy