অ্যাবট হেলথকেয়ারের তৈরি কাশির ওষুধ ফেনসিডিলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক (ড্রাগ কন্ট্রোলার)। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাবট ল্যাবরেটরিজের শাখা অ্যাবট হেলথকেয়ার। গত কয়েক মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বিদেশি বহুজাতিক ভারতে পণ্যের মান নিয়ে সমস্যায় পড়ল। এর আগে নেসলে-র ম্যাগিতে মাত্রাতিরিক্ত সীসা থাকার অভিযোগে সেগুলি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তবে হাইকোর্টের রায়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে তারা।
অ্যাবটের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের ড্রাগ কন্ট্রোলারের অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সংস্থার কাফ সিরাপ ফেনসিডিলের একটি ব্যাচে অতিরিক্ত পরিমাণ কোডিন রয়েছে বলে পরীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে। ওষুধের শিশির লেবেলে প্রতি পাঁচ মিলিলিটার সিরাপে ১০ মিলিগ্রাম (এমজি) কোডিন থাকার কথা বলা হলেও, আসলে তার পরিমাণ ২১.৩৭ এমজি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৈরি ওষুধগুলি ওই বছরের মার্চেই বাজারে আসে।
আফিম থেকে তৈরি কোডিন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা ভারতীয় আইনে নিষিদ্ধ। তাই ওষুধ পরীক্ষার পরেই সংস্থাকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়। তবে ওই ব্যাচের ৮০ হাজার শিশি খাওয়ার উপযুক্ত নয় বলে ঘোষণা করলেও, সেগুলি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়নি নিয়ন্ত্রক। আরও দু’টি ব্যাচে অবশ্য আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি বলেই তাদের দাবি। এ দিকে, অতিরিক্ত কোডিন শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করতে এবং ওষুধ নির্ভরতা বাড়াতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নিজেদের এবং তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার পরে অবশ্য সংস্থার ওষুধ সব দিক থেকে নিরাপদ বলে গত এপ্রিলে কারণ দর্শানোর নোটিসের উত্তরে পাল্টা দাবি করে অ্যাবট। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরীক্ষাগারে পাঠানো ওষুধ কোথা থেকে এবং কী অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে কন্ট্রোলারকে চিঠিও পাঠায় তারা। ওষুধগুলি জাল না-আসল, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্যই এই আবেদন বলে জানিয়েছে অ্যাবট।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, আগে একই অভিযোগে অ্যাবটকে চিঠি পাঠিয়েছিল হিমাচল প্রদেশের নিয়ন্ত্রকও। হিমাচলের কারখানাতেই ফেনসিডিল তৈরি হয়। দেশে কাশির ওষুধের বাজারের এক তৃতীয়াংশ ফেনসিডিলের হাতে। ভারতে অ্যাবটের ১০০ কোটি ডলার আয়ের ৩% আসে এই ওষুধ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy