গৃহঋণের বাজারে এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বড় মাপের প্রতিযোগিতার মুখে ফেলতে চলেছে বেসরকারি সংস্থা। এই মন্তব্য করেছেন বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর চন্দ্রশেখর ঘোষ। পাশাপাশি পণ্য-পরিষেবা কর জমানায় ব্যাঙ্ক পরিচালনার খরচ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা জানান তিনি।
ব্যাঙ্কিং নিয়ে মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক সভায় চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘সম্প্রতি ১৪টি বেসরকারি গৃহঋণ সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স পেয়েছে। এ বার গৃহঋণের বাজারে বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে।’’
চন্দ্রশেখরবাবু জানান, ব্যাঙ্ক ঋণের চাহিদায় এমনিতেই আকাল চলছে। তা ছাড়া দেশে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির (এমএসএমই) ৩২.৫ লক্ষ কোটি টাকা ধারের চাহিদার ৭৫ শতাংশই চড়া সুদে জোগায় স্থানীয় মহাজনরা (মানি লেন্ডার)। ব্যাঙ্ক ২৫% দেয়। এর সমাধান বাতলাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ঋণ দিতে ব্যাঙ্কগুলির মানসিকতার পরিবর্তন ও ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি আরও সরল করা জরুরি। এনবিএফসি-তে কিন্তু সুদের হার সাধারণ ভাবে ব্যাঙ্কের থেকে বেশি। অথচ তাদের দেওয়া ঋণের চাহিদা বাড়ছে, কমছে ব্যাঙ্কের।’’
বাজার বাড়াতে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সরল করা জরুরি বলে মনে করেন চন্দ্রশেখরবাবু। তা না-হলে সাধারণ ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীরা ব্যঙ্কের কাছে না-গিয়ে মহাজনদেরই দ্বারস্থ হবেন। ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক চালুর পরে দেখলাম, ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থাগুলিকে ঋণের আবেদন করতে হলে ২৪ পাতার ফর্ম ভর্তি করতে হয়। পূরণের ব্যাপারটিও জটিল। বুঝলাম, ওই ঝামেলা এড়াতেই সিংহভাগ আবেদন-কারী ব্যাঙ্কমুখো হবেন না। আমি ১ পাতার আবেদনপত্র চালু করলাম। বর্তমানে আমাদের ব্যাঙ্কে ঋণদানের প্রধান ক্ষেত্র হল এমএসএমই।’’
আরও খবর
জিএসটি ঘিরে শঙ্কায় বাজার
নতুন পরোক্ষ করা জমানা প্রসঙ্গে চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘জিএসটি জমানায় ব্যাঙ্ক পরিচালনার খরচ বাড়তে পারে। অবশ্য এখনই নির্দিষ্ট ভাবে এটা বলা কঠিন। আরও কিছু দিন দেখার পরে তা বোঝা যাবে। বর্তমানে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে আমাদের ৩৩টি শাখা রয়েছে। তবে আমরা পশ্চিমবঙ্গের রেডিস্টার্ড অফিস থেকেই পরিষেবা কর মেটাই। জিএসটি জমানায় তা মেটানোর জন্য ওই ৩৩টি জায়গাতেই রেজিস্টার্ড দফতর চালু করতে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy