Advertisement
১৬ মে ২০২৪

গুডরিকের চোখ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৈরি চায়ের বাজারে

ইউরোপ ও আমেরিকার পরে এ বার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও তৈরি চায়ের (ইনস্ট্যান্ট টি) বাজার ধরতে চায় গুডরিক গোষ্ঠী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৯
Share: Save:

ইউরোপ ও আমেরিকার পরে এ বার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও তৈরি চায়ের (ইনস্ট্যান্ট টি) বাজার ধরতে চায় গুডরিক গোষ্ঠী।

অনেক দেশেই তৈরি চায়ের চাহিদা বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে প্রতিযোগিতাও। আপাতত ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান, আমেরিকায় ওই চায়ের ব্যবসায় নেমেছে গুডরিক। সম্প্রতি তাদের ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভার পরে এমডি তথা সিইও অরুণ এন সিংহ জানান, এখন তাঁরা চিন, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলির বাজারেও তৈরি চা নিয়ে হাজির হয়েছেন। এ বার লক্ষ্য সার্বিক ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ওই চায়ের বাজার ধরা। মূলত সে কথা মাথায় রেখেই উত্তরবঙ্গে তৈরি চায়ের কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে লগ্নি করছে সংস্থা। এতে কারখানার উৎপাদন ১০%-১৫% বাড়বে বলে তাদের দাবি।

আধুনিক চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথাগত চায়ের পাশাপাশি প্যাকেটজাত চায়ের (প্যাকেট-টি) উৎপাদনেও জোর দিচ্ছে গুডরিক। দু’বছরে তা ২৫% বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে তারা। অরুণবাবু জানান, এখন বছরে ৮০ লক্ষ কেজি প্যাকেটজাত চা তৈরি করে সংস্থা। তা বেড়ে হবে এক কোটি কেজি। এই ব্যবসার বিপণনেও ১০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।

এখন গুডরিক গোষ্ঠীর হাতে ১৭টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি ডুয়ার্সে, ৩টি দার্জিলিঙে এবং ২টি অসমে। এ বার অসমে আরও এক-দু’টি বাগান কেনার পরিকল্পনা আছে তাদের।

এত দিন গুডরিক সাধারণ বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) হিসেবে আর্থিক হিসেব-নিকেশ করত। কিন্তু এ বার থেকে তারা তা করবে অর্থবর্ষের হিসােব। তাই এ বছর ৩১ মার্চের আগের মোট ১৫ মাসের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করেছে তারা। তাতে কর মিটিয়ে ব্যবসার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭,৪২৭.০৩ কোটি টাকা। মুনাফা হয়েছে ১২৮.৯০ কোটি। একই সঙ্গে ৪০% ডিভিডেন্ড দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Goodricke tea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE