বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি তৈরিতে উৎসাহ দিতে কেন্দ্র ফেম প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে সায় দেওয়ায় কিছুটা জল পড়ল বিতর্কে।
কেন্দ্র জোর দিচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির উপরে। আর শিল্পের অভিযোগ, বিক্রি বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি নীতি আনছে না সরকার। যা না হলে এগুলি বেশি তৈরি করা মুশকিল। এই অবস্থায় বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি তৈরিতে উৎসাহ দিতে কেন্দ্র ফেম প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে সায় দেওয়ায় কিছুটা জল পড়ল বিতর্কে। এই দফায় তিন বছরের জন্য অনুমোদিত হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকাও। বিক্রি বাড়াতে যা খরচ হবে ক্রেতাকে ভর্তুকি হিসেবে দিতে। যে দেখে কিছুটা স্বস্তির হাওয়া শিল্প মহলে।
গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম ও বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন এসএমইভি সার্বিক ভাবে ফেম-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের দরজা খুলে দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে। সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরা বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে এই পদক্ষেপ। বাড়তি বরাদ্দ যেমন সেগুলি কেনায় উৎসাহ দেবে, তেমনই গাড়ি ও যন্ত্রাংশ শিল্পের পক্ষে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি পরিকল্পনা ছকার ক্ষেত্রে আস্থা জোগাবে। এই ভরসার কথা বলেছেন এসএমইভি-র ডিজি সোহিন্দর গিল-ও।
মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার এমডি পবন গোয়েন্কা, টাটা মোটরসের প্রেসিডেন্ট (ইলেকট্রিক মোবিলিটি) শৈলেশ চন্দ্র, লোহিয়া অটোর সিইও আয়ুষ লোহিয়া— সকলেরই মূল বক্তব্য, স্থায়ী নীতি নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির এই স্বচ্ছতায় অনিশ্চয়তার বাতাবরণ কাটবে।
ফেম কী? • প্রকল্পের নাম ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অব ইলেকট্রিক ভেহিকল্স। বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি বিক্রিতে উৎসাহ দিতে এনেছে কেন্দ্র। এতে ওই গাড়ি কিনলে ভর্তুকি হিসেবে দামে এককালীন কিছুটা ছাড় পান ক্রেতা। প্রথম পর্যায় • ফেম-১ চালু ২০১৫-তে। • গত সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষের পরে ফের বেড়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায় • ফেম-২ চলবে তিন বছর। • ১০ হাজার কোটি বরাদ্দ। • দাবি, ১০ লক্ষ দু’চাকা, ৫ লক্ষ তিন চাকা, ৫৫ হাজার চার চাকা ও ৭ হাজার বাসকে সাহায্যই লক্ষ্য।
সরকারি সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার ফেম-এ গণ পরিবহণে যুক্ত বা বাণিজ্যিক ব্যবহার হয় এমন তিন ও চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে জোর দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে দু’চাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy