Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মামলা জমে ৯ হাজার, বেঞ্চ মাত্র ১১টি

এসিএলটি-র মাধ্যমেই দেউলিয়া আইনে রুজু করা মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। কী ভাবে টাকা মেটানো হবে, তা ঠিক করতে ওই সব সংস্থায় এক জন করে রেজলিউশন প্রফেশনাল (আরপি) নিয়োগ করে এনসিএলটি। যিনি কার্যত সংস্থার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসাবেই কাজ করেন। পাওনাদারদের সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা তৈরি করে এনসিএলটির কাছে জমা দেন।

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৫
Share: Save:

বকেয়া মামলার সংখ্যা ৯ হাজারেরও বেশি। অথচ তার জন্য চালু মাত্র ১১টি আদালত (বেঞ্চ)। প্রতিটি মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে শুরু হওয়ার ২৭০ দিনের মধ্যে। দেউলিয়া আইন কার্যকর করার জন্য আপাতত জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-এর যে পরিকাঠামো চালু রয়েছে, তার হাল এই রকমই। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বেঞ্চের সংখ্যা-সহ পরিকাঠামো সম্প্রসারণ জরুরি। না হলে ব্যাহত হতে পারে আইন প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্যই।

২০১৬ সালের ১ জুন ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড বা দেউলিয়া আইন চালু করে কেন্দ্র। লক্ষ্য, ব্যাঙ্ক ও পাওনাদারেরা যাতে অনুৎপাদক সম্পদ-সহ বকেয়া দ্রুত ফেরত পায়, তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আইন কার্যকর করতে যে-পরিকাঠামো এ পর্যন্ত কেন্দ্র তৈরি করেছে, সেখানেই খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ।

স্টেট ব্যাঙ্কের এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৯ হাজারেরও বেশি মামলা রয়েছে এনসিএলটির কাছে। অথচ বেঞ্চ মাত্র ১১টি। এর মধ্যে একটি প্রিন্সিপাল বেঞ্চ-সহ দু’টি দিল্লিতে। এ ছাড়া মুম্বই, কলকাতা, অমদাবাদ, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, ইলাহাবাদ, হায়দরাবাদ ও গুয়াহাটিতে আছে একটি করে বেঞ্চ।

এসিএলটি-র মাধ্যমেই দেউলিয়া আইনে রুজু করা মামলার নিষ্পত্তি করা হয়। কী ভাবে টাকা মেটানো হবে, তা ঠিক করতে ওই সব সংস্থায় এক জন করে রেজলিউশন প্রফেশনাল (আরপি) নিয়োগ করে এনসিএলটি। যিনি কার্যত সংস্থার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসাবেই কাজ করেন। পাওনাদারদের সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা তৈরি করে এনসিএলটির কাছে জমা দেন। পরিকল্পনা খতিয়ে দেখে এনসিএলটি তা কার্যকরের নির্দেশ দেয়। বকেয়া মেটাতে সংস্থা গুটিয়ে সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশও দিতে পারে ট্রাইব্যুনাল।

ইনস্টিটিউট অব কোম্পানি সেক্রেটারিজের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ও রেজলিউশন প্রফেশনাল মমতা বিনানি বলেন, ‘‘এনসিএলটির কাছে মামলার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আমার মতে, প্রতি রাজ্যে একটি করে বেঞ্চ গড়া জরুরি। অনেক রাজ্যে একাধিক বেঞ্চও প্রয়োজন। পরিকাঠামো উন্নত না হলে নির্দিষ্ট সময়ে মামলা শেষ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’’ তিনি জানান, বেঞ্চগুলিতে টাইপিস্ট-সহ কর্মীরও অভাব রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার রায়ের কপি হাতে পেতেই মাস গড়িয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NCLT Central Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE