গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির বিপুল জয়ের ইঙ্গিত চাঙ্গা করল শেয়ার বাজারকে। শুক্রবার সেনসেক্স এক লাফে উঠল ২১৬.২৭ পয়েন্ট। দাঁড়াল ৩৩,৪৬২.৯৭ অঙ্কে। নিফ্টি ৮১.১৫ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হয়েছে ১০,৩৩৩.২৫ অঙ্কে। একই ভাবে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও বেড়ে গিয়েছে ৩০ পয়সা। ফলে দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬৪.০৪ টাকায়। যা গত তিন মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি।
সূচক এতটা লাফালেও, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি কিন্তু ভারতে এ দিন ৯৩২ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে। যে কারণে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই উত্থানের মূল কৃতিত্ব দেশীয় লগ্নিকারী সংস্থাগুলির। যার মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড। ব্যাঙ্কে সুদ কমার দরুন বহু মানুষই এখন ফান্ডের লগ্নিতে ঝুঁকছেন। অনেকে আবার তুলনায় কম ঝুঁকিতে বেশি রিটার্নের আশায় এর মাধ্যমেই শেয়ারে পুঁজি ঢালছেন। ফলে শেয়ার বাজারে টানা বিনিয়োগ বাড়াতেই হচ্ছে ফান্ডগুলিকে। যা নগদের জোগান বাড়াচ্ছে সেখানে।
যদিও এই পথে উত্থান কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। কারণ হিসেবে তাঁদের দাবি, শেয়ারের দাম বাড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির বা দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতির সম্পর্ক থাকলে, এগোনোর রাস্তা অনেক মজবুত হয়। কিন্তু এই উত্থান দেশীয় আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নির জেরে বাজারে প্রচুর নগদ ঢুকে পড়ার ফল। ফলে নগদ চলে গেলে সূচকের উল্টো পথ ধরার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তবে সকলেই একবাক্যে বলছেন, ভারতের বাজার এখন আর আগের মতো শুধু বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল নেই। ছবি পাল্টে গিয়েছে। এ দিন বাজারে ফান্ড-সহ ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি পুঁজি ঢেলেছে ৬৩৫ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy