হার্লে ডেভিডসন মোটরবাইক, জ্যামিতির বাক্স কিংবা আপেলে কর বসানো নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে নারাজ নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর দাবি, হালে তাঁরা মার্কিন পণ্যে শুল্ক বসানোর কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু তা মোটেও শোধ তুলতে নয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) শর্ত মেনে।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার বিষয়টি ৪৫ দিন পিছিয়েও দিয়েছেন তাঁরা। বরং যে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষোভ, তা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আমেরিকায় ভিসার কড়াকড়িতে এমনিতেই স্বস্তিতে নেই ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। তার উপরে বাণিজ্য যুদ্ধে গেলে, তার আঁচ অলঙ্কার, ওষুধ বা বস্ত্র শিল্পে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রের। অথচ এই সব ক্ষেত্রে বহু মানুষের রোজগার।
আরও পড়ুন: আক্রমণে ছাড় নেই বর্ষপূর্তির জিএসটিকে
খতিয়ান
• আমেরিকা থেকে আমদানি: ২,৭০০
• ভারত থেকে মার্কিন মুলুকে রফতানি: ৪,৮০০
• আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি: ২,১০০
রফতানির অঙ্ক
• ভারত থেকে দামি ধাতু, পাথর, অলঙ্কার, মুক্তো রফতানি: ১,০১০
• ওষুধ, ওষুধজাত পণ্য: ৪৭০
• পরমাণু চুল্লি, বয়লার, যন্ত্রাংশ: ২৮০
• অন্যতম প্রধান রফতানি অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা
* ২০১৭-১৮ সালের সব হিসেব কোটি ডলারে।
বরং প্রতিশ্রুতি
• বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে ভারত।
• আমেরিকা থেকে আমদানি হবে ৪০০ কোটি ডলারের তেল।
• ৭-৮ বছরে প্রয়োজন হবে প্রায় ১,০০০ বিমান। বড় অংশের বরাত পাবে ট্রাম্পের দেশ।
এমনিতেই কথা রেখে কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করতে পারেনি মোদী সরকার। তার উপরে শুল্ক যুদ্ধে নতুন করে এ দেশের মানুষ কাজ হারালে, ভোট বছরে তার দায় নিতে হবে। তা ছাড়া, রফতানি ধাক্কা খেলে মার খাবে বৃদ্ধির হারও। সেই ঝুঁকি নিতে নারাজ মোদী সরকার। মার্কিন উষ্মা এড়াতে এর আগেও হার্লে ডেভিডসনের মতো দামি বাইকে শুল্ক বাড়ায়নি কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy