জীবন বিমা প্রকল্প থেকে ঋণের সুবিধা এখনই রয়েছে। এ বার তা বাধ্যতামূলক করল বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। সম্প্রতি এক মাস্টার সার্কুলারে তারা জানিয়েছে, সঞ্চয় ভিত্তিক বিমার ক্ষেত্রে গ্রাহক ঋণ চাইলে তা দিতে বাধ্য থাকবে সংস্থা। ঋণের অঙ্ক নির্ভর করবে কত টাকার বিমা তার উপরে। টার্ম পলিসির ক্ষেত্রে অবশ্য ঋণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। আবার বাড়ি করা, ফ্ল্যাট কেনা, চিকিৎসা, শিক্ষা, সন্তানের বিয়ের মতো জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহক যাতে পেনশন প্রকল্প থেকেও আংশিক টাকা তুলতে পারেন, ব্যবস্থা করা হয়েছে তারও। বিমা ক্ষেত্রের সমস্ত নিয়মকে এক ছাতার নীচে এনে মাস্টার সার্কুলারটি তৈরি হয়েছে। আরআরডিএ বলেছে, ‘‘নতুন ব্যবস্থাগুলিতে গ্রাহকদের আরও সুবিধা হবে।’’
সার্কুলারে জানানো হয়েছে—
- প্রকল্প কেনার পরে গ্রাহক যদি সেটি বাতিল করতে চান, তবে তা করতে হয় ১৫ দিনের মধ্যে। সেই সময় বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হল। সাধারণ বিমার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। পলিসি চালাতে না চাইলে (সারেন্ডার) গ্রাহক যাতে যুক্তিসঙ্গত অর্থ পান, তার ব্যবস্থাও বিমা সংস্থাকে করতে হবে।
- অভিযোগের ভিত্তিতে অম্বুডসম্যান গ্রাহকের পক্ষে রায় দিলে, তার বিরুদ্ধে যদি কোনও পক্ষ আপিলে না যায়, তা হলে ওই রায় বিমা সংস্থাকে ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। অন্যথা তার পর থেকে প্রতি দিন ৫০০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে অভিযোগকারীকে।
- গ্রাহকের যাতে অযথা আর্থিক ক্ষতি না হয় এবং তাঁকে যাতে ভুল প্রকল্প বিক্রি করা না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
আইআরডিএ-র নতুন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিমা বিশেষজ্ঞেরা। জীবন বিমা নিগমের প্রাক্তন বিপণন আধিকারিক অরূপ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘পদক্ষেপগুলি জীবন বিমার বিস্তারে কার্যকরী ভূমিকা নেবে। বহু মানুষ বিমার আওতায় আসতে উৎসাহিত হবেন। যা ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত মানুষকে বিমার আওতায় নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। সচেতনতা বাড়বে গ্রাহকদের।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)