এক দিকে চাহিদায় খরা, অন্য দিকে নগদের অভাব। এই দুইয়ের জেরেই দেশে কমেছে খুচরো ঋণ বৃদ্ধির গতি। ধার শোধের হারে দেখা যাচ্ছে ঝিমুনি।
ঋণ সংক্রান্ত তথ্য নথিবদ্ধকারী সংস্থা ট্রান্সইউনিয়ন সিবিলের ঋণের বাজার মাপার সূচক ‘ক্রেডিট মার্কেট ইন্ডিকেটর’ (সিএমআই) বলছে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাঙ্ক ও ঋণদাতা সংস্থাগুলির খুচরো ঋণ বেড়েছে। ঋণদান বৃদ্ধির হার নেমেছে দু’বছরের তলানিতে। বৃদ্ধি কমেছে সার্বিক ধার শোধেরও। পণ্য কিনতে নেওয়া ঋণে বেড়েছে বকেয়া। এর মধ্যে রয়েছে ক্রেডিট কার্ড, ব্যক্তিগত ও ভোগ্যপণ্য কেনার ঋণ। রিপোর্ট বলছে, ঋণ বৃদ্ধির পথে অন্যতম কাঁটা তার জোগান বৃদ্ধির কমে যাওয়া হারও।
ঋণের চাহিদা, জোগান, শোধের প্রবণতার ভিত্তিতে সিএমআই তৈরি করে সিবিল। এর থেকে বোঝা যায় ঋণের বাজারের হাল। ওই সিএমআই ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে ছিল ১০৩। গত সেপ্টেম্বরে হয়েছে ১০০। সংস্থার এমডি ভবেশ জৈন বলেন, “খুচরো ঋণ কমার কারণ বিশ্বের আর্থিক বাজারে সমস্যা, শহরে শ্লথ চাহিদা ও ব্যাঙ্ক-সহ আর্থিক সংস্থাগুলির জমার নিরিখে ঋণের হার স্থিতিশীল রাখতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের কড়াকড়ি। টাকা শোধ করবেন, এমন গ্রাহক চিহ্নিত করে ঋণদান টানা বাড়ানো সংস্থাগুলির কাছে চ্যালেঞ্জ।’’ ইউবিআই-এর
প্রাক্তন কর্তা ভাস্কর সেনের দাবি, নগদের অভাব খুচরো ঋণ কমার কারণ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে আয় কমেছে। হাতে টাকা না থাকায় ঋণ নিতে পারছেন না অনেকে। তাই চাহিদায় ভাটা পড়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)