ঝুনঝুনওয়ালাকে সম্মানিত করছেন মমতা। মঙ্গলবার। –নিজস্ব চিত্র
কলকাতার পরে এ বার শিলিগুড়িতেও পা রাখতে চলেছে ম্যারিয়ট। হিলকার্ট রোডে ১.৩ একর জুড়ে তৈরি হচ্ছে ১৩৮ ঘরের হোটেল। আগামী বছর যার উদ্বোধন।
মঙ্গলবার কলকাতায় ম্যারিয়ট গোষ্ঠীর হোটেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে গিয়েই শিলিগুড়ির হোটেলটির কথা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল উদ্বোধনে। ছিলেন রাজ্যের এক ঝাঁক মন্ত্রী, সাংসদও।
কলকাতায় বাইপাসের ধারে ১,২০০ কোটি টাকা লগ্নিতে হোটেল গড়েছে ম্যারিয়ট গ্রুপ। ঘর ২৮১টি।
অনেকের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে এত টাকা গুনে হোটেল বানাল তারা? বিশেষত দক্ষিণ, মধ্য ও পূর্ব কলকাতায় যেখানে প্রায় পাঁচ-ছ’টি বিলাসবহুল হোটেলের ভিড়। তাঁদের দাবি, এ রাজ্যে পর্যাপ্ত বাণিজ্য নেই বলে সেগুলি যথেষ্ট অতিথি পায় না। ফলে শহরের এই নতুন হোটেলে ভিড় কতটা হবে, তা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান তাঁরা।
হোটেলটির স্থপতি মণি গোষ্ঠীর সিইও সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালা-ও বলেন, ‘‘কলকাতার বাজার অনিশ্চিত। এখানে কে কতটা ব্যবসা করতে পারবে তার আগাম ধারণা করা সম্ভব নয়।’’ তবে তাঁর মতে, কলকাতাবাসীদের একাংশের কাছে টাকা রয়েছে। ম্যারিয়টের চিফ অপারেটিং অফিসার (এশিয়া-প্যাসিফিক) রাজীব মেননের কথায়, ‘‘রোজগেরেদের হাতে সম্পদ বাড়ছে। ভারতে আমাদের সব হোটেলে এখন অতিথিদের ৬০ শতাংশই ভারতীয়।’’ ইতিমধ্যেই নভেম্বরে ৫০% ঘর বুক হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি রাজীবের।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘‘এ রাজ্যে সম্ভাবনা না থাকলে এরা কি এখানে হোটেল তৈরি করত?’’ তিনি জানান, জানুয়ারিতে শহরে গ্লোবাল বিজনেস সামিট। ফিফাও সামনের বছর ফুটবল যুব বিশ্বকাপের অন্যতম স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে এ শহরকে। মমতার কথায়, ‘‘হোটেল তৈরির জন্য তাই এটা উপযুক্ত সময়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy