কম দামি গাড়ি তৈরি করেই সাফল্য পেয়েছিল মারুতি-সুজুকি। এ বার কম দামে ‘হাইব্রিড’ (প্রথাগত জ্বালানির সঙ্গে বিদ্যুতে চলার ব্যবস্থা) গাড়িও তৈরি করতে চায় তারা।
বিকল্প জ্বালানির গাড়ি তৈরিতে জোর দিচ্ছে গোটা বিশ্বই। কিন্তু এখনও প্রযুক্তিগত কারণে ওই ধরনের গাড়ির দাম বেশি। ফলে দামি গাড়ির বাজারেই তার কদর বেশি। সাধ্যে কুলিয়ে উঠতে পারেন না বলে কম দামি গাড়ির ক্রেতারা সাধ থাকলেও এ ধরনের গাড়ির দিকে এগোন না। সার্বিক ভাবে গাড়ি বাজারের সিংহভাগ কম দামি ছোট গাড়ির দখলে।
এ দেশে রেভা-র বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবসা কেনার পরে অবশ্য কম দামে বিকল্প জ্বলানির গাড়ি আনার পথে হাঁটার চেষ্টা করছে মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। দুই দরজার ইটুও-র পরে এ বার তারা বাজারে এনেছে চার দরজার ইটুও-প্লাস। দুটিই ছোট, পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি।
মারুতি-সুজুকির লক্ষ্য অবশ্য হাইব্রিড গাড়ি। সেখানে প্রথাগত জ্বালানির সঙ্গেই থাকবে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা। যা এখন তৈরি করে টয়োটা, হোন্ডার মতো দামি ও বড় গাড়ি সংস্থাগুলি। আমজনতার গাড়ি সংস্থা হিসেবেই পরিচিত মারুতি-সুজুকি। কম দামি ছোট গাড়ির বাজারের সিংহভাগ তাদের দখলে। সংস্থার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব জানান, ছোট হাইব্রিড গাড়ি তৈরি করতে আগ্রহী তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘এখন বিশ্বের কোথাও ছোট ও কম দামি হাইব্রিড গাড়ি নেই। এ ধরনের গাড়ি তৈরি জরুরি। মারুতি ও সুজুকি এ নিয়ে কাজ করছে।’’ তবে কবে সেই গাড়ি আসবে, তার কোনও দিনক্ষণ তিনি জানাননি।
অন্য দিকে, জাপানি বহুজাতিক টয়োটা দূরপাল্লার বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির উপর জোর দিচ্ছে। জাপানের সংবাদপত্র নিক্কেইয়ের দাবি, ২০২০-তে টয়োটা ওই ধরনের গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও এই খবরের সত্যতা যেমন টয়োটা স্বীকার করেনি, তেমনই তা অস্বীকারও করেনি। তারা বলেছে, সংস্থা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্তব্য করে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy