Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সন্তানকে নজরে রাখতে এ বার মোবাইল অ্যাপ

খবরের কাগজ পড়া, মেসেজ করা, রেস্তোরাঁ বাছাই করা থেকে শুরু করে নতুন শহরে রাস্তাঘাট চেনা, গেম খেলা বা ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা— মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ-এর দৌলতে হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে এ সব দৈনন্দিন কাজ সেরে ফেলা যাচ্ছে সহজেই। এ বার সন্তান বড় করার ক্ষেত্রেও হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে মোবাইল অ্যাপ।

গার্গী গুহঠাকুরতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৮
Share: Save:

খবরের কাগজ পড়া, মেসেজ করা, রেস্তোরাঁ বাছাই করা থেকে শুরু করে নতুন শহরে রাস্তাঘাট চেনা, গেম খেলা বা ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা— মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ-এর দৌলতে হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে এ সব দৈনন্দিন কাজ সেরে ফেলা যাচ্ছে সহজেই। এ বার সন্তান বড় করার ক্ষেত্রেও হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে মোবাইল অ্যাপ।

সন্তানের পড়াশোনা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার মতো বিষয়ে নজর রাখতে তৈরি হচ্ছে অ্যাপ। ই-কবচ, মামাবেয়ার, পেরেন্টস্‌কনসার্ন-এর মতো দেশি-বিদেশি সংস্থা অ্যাপের এই বাজার ধরতে ঝাঁপাচ্ছে। বাজার ধরতে স্মার্ট ফোনের রমরমার উপরে আস্থা রাখছেন অ্যাপ নির্মাতারা।

বাবা-মায়ের হাতে স্মার্ট ফোন। ছেলেমেয়েদের হাতেও স্মার্ট ফোন। আর দুইয়ের মধ্যে ডিজিটাল যোগসূত্র তৈরি করে দিতে পারে অ্যাপ। ‘ইটস্‌মাইচাইল্ড’ অ্যাপের স্রষ্টা দুই বাঙালি অদ্রিশ চক্রবর্তী ও অনিমিখ সেনের দাবি, এই প্রজন্মের সন্তান পালনের জন্য ডিজিটাল হাতিয়ার জরুরি। বছর দুয়েক আগে নিজেদের টিন-এজ সন্তান বড় করতে গিয়ে পদে পদে সমস্যায় পড়েছেন দু’জনেই। আর সেই অভিজ্ঞতা পুঁজি করেই এই অ্যাপ তৈরি করেছেন তাঁরা।

শুধুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনা বা স্বাস্থ্য নয়। সবসময়ে নিজেদের কাজকর্ম ফেলে সন্তানদের পেছনে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়। আর তা কাম্যও নয়। কিন্তু যে-কোনও বাবা-মা কাজের মধ্যেও সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন। কোথায় গেল তারা? স্কুল পালিয়ে আর কোথাও গেল কি না? বা বন্ধুদের সঙ্গে যেখানে গেল, সেই জায়গাটা কতটা নিরাপদ? এ সব প্রশ্নের উত্তর দেবে ইটস্‌মাইচাইল্ড অ্যাপ।

ধরা যাক সেফ প্লেস বা নিরাপদ জায়গা হিসেবে ফোনে স্কুলের নাম রয়েছে। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ওই অ্যাপ দেখাবে বাচ্চাটি স্কুলে রয়েছে। সেই সময়ে স্কুলে না-থাকলে, অটোসেফ বাবা-মাকে সতর্ক করবে যে, বাচ্চাটি সেফ প্লেস বা স্কুলে নেই।

প্রায় ৮০% হারে বাড়তে থাকা ভারতের অ্যাপ বাজারের দিকে চোখ রেখেই বিভিন্ন সংস্থা নিত্যনতুন অ্যাপ তৈরি করছে।

তথ্য পরিসংখ্যান বলছে মোবাইল অ্যাপের ক্ষেত্রে দ্রুততম হারে বাড়তে থাকা বাজার ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ইন্দোনেশিয়ার পরেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা কেপিএমজি-র সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারতে মোট ৯০ কোটি অ্যাপ ডাউনলোড করা হবে। ২০১২ সালেও যে সংখ্যা ছিল দেড় কোটির সামান্য বেশি।

অ্যাপ নির্মাতাদের দাবি, স্মার্ট ফোনের হাত ধরেই আসছে স্মার্ট পেরেন্টিং-এর নতুন দিশা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-এ স্মার্ট ফোন মালিকের সংখ্যা ৪৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৪ সালে যা ছিল ১১ কোটির কাছাকাছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE