কমছে কর বাবদ আয়। ছবি: শাটারস্টক।
দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে এ বার প্রত্যক্ষ কর বাবদ সরকারের আয়ও কমতে চলেছে। কর্পোরেট এবং ব্যক্তিগত কর মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে ১৩.৫ লক্ষ কোটি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল মোদী সরকার, যা ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফলাফল আশানুরূপ নয় বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে ১৩.৫ লক্ষ কোটির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোলেও, কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত কর মিলিয়ে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ঘরে ৭.৩ লক্ষ কোটির প্রত্যক্ষ কর জমা পড়েছে, যা আগের অর্থবর্ষে জানুয়ারি পর্যন্ত জমা পড়া করের চেয়েও ৫.৫ শতাংশ কম। গত দু’দশকে এমন পরিস্থিতি আগে দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
দেশ জুড়ে মাথাচাড়া দেওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটকেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পণ্যদ্রব্যের চাহিদার অভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলির রোজগার কমেছে। তার জেরে বিনিয়োগে রাশ টানতে বাধ্য হয়েছে তারা। কর্মী ছাঁটাইও করতে হয়েছে, যার ফলে প্রচুর মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এর পাশাপাশি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর্পোরেট করও কাটছাঁট করা হয়েছে। সরাসরি আয়কর আদায়ের উপর তার প্রভাব পড়েছে বলে মত তাঁদের।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা, আগামী দু’দিন কনকনে ঠান্ডা রাজ্যে
আরও পড়ুন: নির্ভয়াকাণ্ড: তিহাড় জেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ফের আদালতে দণ্ডিতদের আইনজীবী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে যাদি বা ১১.৫ লক্ষ কোটি কর আদায় হয়েছিল। এ বার তার ধারেকাছেও পৌঁছনো সম্ভব নয়। প্রত্যক্ষ কর আদায়ে এমন পতন এই প্রথম বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে অর্থনীতির এই ঝিমুনি দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে না বলে মত আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)-এ প্রধান ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভার। শুক্রবার সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম ২০২০-র মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের মতো সুবিশাল বাজার খানিকটা নিম্নমুখী হয়েছে বটে, গোটা বিশ্বে তার প্রভাব পড়েছে। তবে এটা স্থায়ী হবে না বলেই বিশ্বাস আমাদের। খুব তাড়াতাড়ি এই পরিস্থিতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারবেবলে আশাকরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy