২০৩০-এ ভারতের রাস্তায় বিকল্প জ্বালানির গাড়িই চলুক, তাদের এই ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। এ বার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, পেট্রোল-ডিজেল নয়, বিকল্প জ্বালানিতে গাড়ি চালানোর কথা ভাবতেই হবে দেশের গাড়ি শিল্পকে। না-হলে ভবিষ্যতে তাদের রেয়াত করা হবে না। সে ক্ষেত্রে জোর করতেও পিছপা হবে না কেন্দ্র।
সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম)–এর বার্ষিক সভায় আজ নিতিন বলেন, ‘‘আমাদের বিকল্প জ্বালানির পথেই এগোতে হবে। পছন্দ করুন বা না-করুন, আমরা এটা করব। এ জন্য আপনাদের জিজ্ঞাসা করব না। দূষণ ঠেকাতে ও আমদানি বিল কমাতে সরকারের এ নিয়ে স্বচ্ছ নীতি রয়েছে।’’ তাঁর এই ভাবনাকে স্বাগত জানালেও কেন্দ্রের প্রতি গাড়ি শিল্পের বার্তা, নীতি যেন দীর্ঘমেয়াদি হয়। ঘন ঘন নীতি পরিবর্তন গাড়ি শিল্পের উন্নতির পথে ক্রমাগত বাধা সৃষ্টি করে।
দূষণ কমাতে ও তেল আমদানির বিপুল খরচ (বার্ষিক ৭ লক্ষ কোটি টাকা) সামলাতে আগামী দিনে বিকল্প জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছিলেন, ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের রাস্তায় বিকল্প জ্বালানির গাড়িই চলুক, এটা চান তাঁরা।
গডকড়ীর ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে সিয়ামের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিনোদ দশারির দাবি, ‘‘আগামী তিন বছরে আমরা ভারত স্টেজ৪ বা বিএস৪ দূষণ বিধি থেকে একলাফে বিএস৬-এ পৌঁছব। বিশ্বে এই নজির অনন্য। কিন্তু নীতির ধারাবাহিকতাও থাকতে হবে। একবার ঠিক হলে তা বদল করা চলবে না। কারণ নতুন প্রযুক্তি আনতে গাড়ি শিল্পের অনেকটা সময় লাগে।’’
এ দিকে জিএসটি-র আওতায় বড় ও দামি গাড়ির উপর সেস ফের না-বাড়ানোর দাবি তুলেছে গাড়ি শিল্প। এ দিন সভার ফাঁকে ভারী শিল্পমন্ত্রী অনন্ত গীতে জানান, তাদের সেই বক্তব্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে পাঠানো হয়েছে।