Advertisement
E-Paper

ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ফের নিষ্ফলা

শ্রমিক সংগঠনগুলি চায়, তাদের দাবি-সনদ নিয়ে দ্রুত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হোক। অন্য দিকে মালিকরা জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশ মতো ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হয়েছে। তাই ধর্মঘটে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫২

পয়লা মার্চ থেকে রাজ্যের চটকলগুলিতে লাগাতার ধর্মঘট ডেকেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে শুক্রবার শ্রমিক ইউনিয়ন ও চটকল মালিকদের বৈঠকে ডেকেছিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রশাসন সূত্রের খবর, ত্রিপাক্ষিক সেই বৈঠক নিষ্ফলাই হয়েছে। মেলেনি রফাসূত্র। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে ফের শ্রমিক সংগঠন ও মালিক পক্ষকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। তবে উভয়পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায়, ওই দিনের বৈঠকেও রফাসূত্র মিলবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে খোদ প্রশাসনের অন্দর মহলেই।

শ্রমিক সংগঠনগুলি চায়, তাদের দাবি-সনদ নিয়ে দ্রুত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হোক। অন্য দিকে মালিকরা জানিয়েছে, সরকারের নির্দেশ মতো ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়ানো হয়েছে। তাই ধর্মঘটে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হোক।

এ দিকে, পশ্চিমবঙ্গে চটকল শ্রমিকদের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত চিন্তায় রেখেছে খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রককেও। কারণ, মার্চ-এপ্রিল থেকেই সারা দেশে রবি শস্য উঠতে শুরু করবে। এ বছর রেকর্ড খাদ্যশস্যের ফলন হবে বলে কৃষি মন্ত্রকের ধারণা। এই অবস্থায় চটকলে লাগাতার ধর্মঘট হলে চটের বস্তার জোগানে ঘাটতি দেখা দেবে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় পাট পর্ষদের কর্তাদের অনেকের মতে, বস্তার প্রবল ঘাটতি দেখা দিলে অনেক রাজ্যই প্লাস্টিক বস্তা কিনতে চাইবে। আর তা হলে, ক্ষতির মুখে পড়বে চটকল মালিক, শ্রমিক ও পাট চাষিরাই।

Meeting Jute Mill Strike Moloy Ghatak
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy