Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কয়লা-কৌশলে উৎসবে বিদ্যুৎ

উৎসবের মরসুমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে দু’টি কৌশল নিয়েছিল রাজ্য। প্রথমত, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার মজুত বাড়ানো।

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চাহিদা থাকলেও নিগম কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চাহিদা থাকলেও নিগম কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫২
Share: Save:

কয়লার জোগান বাড়াচ্ছে কোল ইন্ডিয়া। ফলে উৎসবের মরসুমে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতি হবে না বলে দাবি বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, উৎসব শেষ হয়ে গেলে কয়লার জোগানে কিছুটা ভাটা আসতে পারে। তবে তখন শীত চলে আসায় বিদ্যুতের চাহিদাও কমে যাবে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলাতে হয়তো তেমন সমস্যা হবে না।

উৎসবের মরসুমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে দু’টি কৌশল নিয়েছিল রাজ্য। প্রথমত, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার মজুত বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, হাতে কয়লা থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম করা। যাতে কয়লা কম খরচ হয় এবং উৎসবে ওই মজুত কয়লা থেকে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

সেই অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ধাপে ধাপে কয়লার মজুত অনেকটাই বাড়িয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোল ইন্ডিয়া এখন প্রতিদিন প্রায় ১৪ রেক করে কয়লা পাঠাচ্ছে। ফলে পুজোর সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে মজুত হচ্ছে। অন্য দিকে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চাহিদা থাকলেও নিগম কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে বেশি দামেই বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়েছে বণ্টন সংস্থা। রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তারা জানাচ্ছেন, পুজোয় বাজার থেকে বিদ্যুৎ কিনে চাহিদা মেটানোর ঝুঁকি বণ্টন কর্তৃপক্ষ নিতে চায়নি। কারণ, কোনও কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে দাম দিয়েও বিদ্যুৎ পাওয়া না গেলে পুজোয় ঘাটতি হতে পারে।

সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কয়লা থাকলেও দিনে ২,০০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেনি নিগম। এখন তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে নিগমের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ফের ৩,০০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কিছুটা চাহিদা মেটানো হচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কিনে। ফলে চাপ কমে গিয়েছে বণ্টন সংস্থার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE