— প্রতীকী চিত্র।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই বলেছিল, লাগামছাড়া ভাবে বন্ধকহীন ঋণ দেওয়ায় সতর্ক হতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে। এ বার জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফল বার হওয়ার পরে দেখা গেল, বাস্তবেই ব্যাঙ্কগুলির একাংশের ঋণের নিরিখে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মূলত ছোট ঋণগ্রহীতাদের মাথায় বিপুল দায় চাপাতেই বাড়ছে ঋণখেলাপি। এর মধ্যে রয়েছে ক্রেডিট কার্ড, ব্যক্তিগত ঋণ। ক্ষুদ্র ঋণও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট, গত মার্চের শেষে ব্যাঙ্কগুলির মোট এনপিএ-র হার ২.৮ শতাংশে নেমেছিল। গত বেশ কয়েক বছরে সর্বনিম্ন। কিন্তু তার ছ’মাসের মধ্যে কোনও কোনও ব্যাঙ্কে তা ফের মাথা তুলেছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, কোটাক মহিন্দ্রা, ইন্দাসইন্ড, আরবিএল এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তা ২-১৯ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। অর্থাৎ, দেশের আটটি বৃহৎ বেসরকারি ব্যাঙ্কের মধ্যে পাঁচটির এনপিএ ঊর্ধ্বমুখী। ফলে এই খাতে সংস্থান বাড়াতে হচ্ছে তাদের। ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, অতিমারির পরে আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত খরচ বেড়েছে। যা ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডেরও চাহিদাও বাড়িয়েছে। এর জেরে কিছু ক্ষেত্রে ফল হয়েছে বিপরীত।
বার্নস্টেইনের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট প্রণব গুন্ডলাপাল্লের মতে, ‘‘আগামী দিনেও অনাদায়ি ঋণ বাড়বে। এই প্রবণতা বজায় থাকবে তিন-চারটি ত্রৈমাসিকে।’’ অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কার্ড ও খুচরো ঋণ বিভাগের গ্রুপ এগ্জ়িকিউটিভ অর্জুন চৌধুরী জানান, বন্ধকহীন ঋণে অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বজাজ ফিনান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব জৈন বলেন, ‘‘যাঁদের তিনটি বা তার বেশি ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেই খেলাপ হচ্ছে বেশি।’’
ঝুঁকির কারণ
আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পরে ব্যক্তিগত ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা বেড়েছে দেশে।
ব্যাঙ্ক তা মঞ্জুরও করেছে।
অনেক ক্ষেত্রে ঋণখেলাপি বাড়ছে এই খাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy