রাজ্য সরকারের কাছে ২% ছাড়ের সময়সীমা মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর আর্জি জানাল আবাসন শিল্প ও উপদেষ্টা মহল। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ফ্ল্যাট-বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২% ছাড়ের সময়সীমা এ মাসেই শেষ হওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের কাছে তা মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর আর্জি জানাল আবাসন শিল্প ও উপদেষ্টা মহল।
অতিমারিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে চাহিদা বাড়াতেই মহারাষ্ট্র-সহ কিছু রাজ্যের মতো সম্পত্তি নথিভুক্তির ক্ষেত্রে ওই ছাড় চালু করে পশ্চিমবঙ্গ। শিল্প ও উপদেষ্টা সংস্থাগুলির দাবি, তার সুফলও মিলেছে। তবে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ক্রেতাদের উপরে বাড়তে থাকা চাপ। চড়া মূল্যবৃদ্ধি ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম বাড়িয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে বর্ধিত সুদ ঠেলে তুলেছে গৃহঋণের খরচকে। উপরন্তু নতুন করে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রশ্ন উঠেছে, চাহিদা ফের মুখ থুবড়ে পড়বে না তো? এই পরিস্থিতিতে চাহিদা বহাল থাকার ভরসা হিসেবেই রাজ্যকে কাছে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করতে বলেছে নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই।
শুক্রবার আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্ক রিপোর্টে প্রকাশ, গত মাসে আগের বছরের নভেম্বরের চেয়ে কলকাতায় ফ্ল্যাট-বাড়ির নথিভুক্তি বেড়েছে প্রায় ১৬৭%। তাদেরও মত, স্ট্যাম্প ডিউটিতে সাশ্রয়ের সুবিধাই এর প্রধান কারণ। যার মেয়াদ তিন দফা বৃদ্ধির পরে এ মাসে শেষ হবে।
২০২১-এর জুনে প্রথম ওই ছাড় ঘোষণা করে রাজ্য। নাইট ফ্র্যাঙ্ক বলছে, তার আগের ১৭ মাসে আবাসন নথিভুক্ত হয় ৪৪,৭৩৬টি। পরের ১৭ মাসে ৭২,৭৯০টি। ফলে এই সুবিধার জেরেই যে নথিভুক্তি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ সেটা পরিষ্কার, বলছেন সংস্থার সিএমডি শিশির বৈজল। একমত ক্রেডাইয়ের (পশ্চিমবঙ্গ) প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা বা এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য রাহুল টোডিরাও। তাঁদের বক্তব্য, চড়া মূল্যবৃদ্ধি ও সুদেএকাংশের ক্রয়ক্ষমতা ধাক্কা খেতে পারে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে টাকা বাঁচানো গেলে বাড়তি চাপ কমায় স্বস্তি পাবেন তাঁরা। বিশেষত কম দামি ফ্ল্যাটের চাহিদা ধরে রাখতে তা জরুরি। সুশীল জানান, বহু সম্পত্তি বছরের পর বছর নথিভুক্তি না হয়ে পড়ে ছিল। ছাড় সেই প্রক্রিয়ায় গতি এনেছে। রাহুলের দাবি, এতে আয় বেড়েছে রাজ্যেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy