আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে ভারতের একের পর এক তথ্যপ্রযুক্তি ও তা নির্ভর সংস্থা। শুধু দেশের প্রথম সারির সাতটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাতেই মোট ৫৬ হাজার কর্মী চাকরি খোয়াচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। গত বছরের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ।
শুধু ছাঁটাই নয়। যাঁরা এ যাত্রা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরাও আর্থিক ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতি বছর কাজের মূল্যায়ন করে বেতন বৃদ্ধি হয়। এ বছর সেই পাওনা পাওয়ার দিনও পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইনফোসিস পিছিয়ে দিয়েছে বেতন বৃদ্ধির দিন। সংস্থার সিওও ইউ বি প্রবীণ রাও কর্মীদের ই-মেল করে জানিয়েছেন, চলতি বছরের বর্ধিত বেতন চালু হবে জুলাই থেকে। ওই একই ই-মেলে তিনি ছাঁটাই সংক্রান্ত আশঙ্কায় প্রলেপ দিতে চেয়েছেন। ভয় না করার জন্য অভয়বাণী দিলেও রাও জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও কাজের ভালো-মন্দ বিচারের পরেই কাউকে কাউকে চলে যেতে হবে। টেক মহীন্দ্রাও একই পথে হেঁটে বেতন বৃদ্ধি করেনি এখনও।
ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে ‘পারফর্মেন্স’ বা কাজের ভালো-মন্দ বিচারকেই চিহ্নিত করছে প্রায় সব সংস্থাই । কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ছাঁটাইয়ের পিছনে রয়েছে খরচ বাঁচানোর হিসেব। এক দিকে ট্রাম্প জমানায় এইচ-১বি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি। আর অন্য দিকে, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় অটোমেশন, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দাপট। এই জোড়া ফলাতেই বিদ্ধ ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।
যে কারণে কর্মী কমাচ্ছে কগনিজ্যান্ট, ইনফোসিস, উইপ্রো, টেক মহীন্দ্রা-সহ নানা সংস্থা। এখনও পর্যন্ত কগনিজ্যান্ট শীর্ষে। ৬,০০০ কর্মী ছাঁটাই করছে তারা। ডিরেক্টর, ভাইস প্রেসিডেন্ট স্তরের উচ্চপদস্থদের জন্য চালু হয়েছে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প। ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬ থেকে ৯ মাসের বেতনও দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, টেক মহীন্দ্রা, ইনফোসিস ইত্যাদি সংস্থা হাজারের বেশি কর্মী ছেঁটেছে। উইপ্রো ৬০০।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy