ফাইল চিত্র।
মৃত্যুর পর বিমার টাকা দাবি করেনি বহু পলিসি হোল্ডারের পরিবার। সেই টাকা জমতে জমতে ১৫,১৬৭ কোটি টাকার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে দ্য ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (আইআরডিএআই ) রিপোর্টে। ২৩টি বিমা সংস্থার কাছেই ওই বিপুল অঙ্কের টাকা রয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
ইতিমধ্যেই আইআরডিএআই-এর তরফে সেই সব জীবনবিমা সংস্থাকে পলিসি হোল্ডারদের চিহ্নিত করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে, বিমা সংস্থাগুলির দায়িত্বই হচ্ছে পলিসি হোল্ডারদের টাকা যথাসময়ে ফিরিয়ে দেওয়া। প্রত্যেক বিমা সংস্থার বোর্ড লেভেল কমিটিগুলির দায়িত্বই হচ্ছে সেই দিকটা খতিয়ে দেখা।
৩১ মার্চ, ২০১৮ তে দেখা গিয়েছে ১৫,১৬৭ কোটি টাকার মধ্যে এলআইসি-র কাছেই রয়েছে ১০,৫০৯ কোটি টাকার মতো। আর ২২টি বেসরকারি বিমা সংস্থার কাছে রয়েছে ৪,৬৫৭ কোটি টাকা। এছাড়াও আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল লাইফ ইনসিওরেন্স ৮০৭ কোটি টাকা, রিলায়েন্স নিপ্পন লাইফ ইনসিওরেন্সের কাছে ৬৯৭ কোটি টাকা, এসবিআই লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির কাছে ৬৭৯ কোটি টাকা এবং এইচডিএফসি স্ট্যান্ডার্ড লাইফ ইনসিওরেন্সের কাছে প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা দাবিদারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: এশিয়ার ৫ দেশে বেড়াতে গেলে বিশেষ ভাতা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের
আরও পড়ুন: পেটে ভাত থাকলে তবেই বৃদ্ধি ১০%, বললেন নীতি আয়োগের সিইও
বিপুল পরিমাণ অর্থ যাতে বিমা সংস্থার কাছে পড়ে না থাকে, সে দিকে নজর রাখতে বলেছে আইআরডিএআই। বিমা সংস্থাগুলির ওয়েবসাইটে পরিষ্কারভাবে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও দিতে বলা হয়েছে আইআরডিএআই-এর তরফে। সংস্থাগুলির ওয়েবসাইটে গিয়ে পলিসি হোল্ডারদের পলিসি নম্বর, প্যান নম্বর, আধার নম্বর ইত্যাদি দিলেই তাঁদের বিমার স্টেটাস সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন তাঁরা। তবে বিমা সংস্থাগুলিকেও ছ’মাস অন্তর অন্তর দাবিদারহীন ওই সব টাকার পরিমাণ আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইআরডিএআই-এর তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy