Advertisement
E-Paper

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠন

বৃহস্পতিবার স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তারা। প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে দাবি সনদ পেশ করা হবে। যা যাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৬
স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের নেতা অশ্বিনী মহাজন।—ফাইল চিত্র।

স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের নেতা অশ্বিনী মহাজন।—ফাইল চিত্র।

আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০টি দেশ। সঙ্গে ভারত, চিন-সহ আরও ছয়। এই ১৬টি দেশের মধ্যে মুক্ত আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরসিইপি) কার্যকর করতে আলোচনা চলছে বহু দিন ধরে। এ বার তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে হতে চলেছে শেষ পর্যায়ের আলোচনা। যোগ দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ঠিক তার আগে প্রস্তাবিত চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। তাদের বক্তব্য, যে ১৫টি দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির আলোচনা চলছে, তাদের মধ্যে ১১টির সঙ্গেই বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ভারতের। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সস্তার বিদেশি পণ্যে ভরে উঠবে দেশের বাজার। মার খাবে দেশীয় উৎপাদন শিল্প। তবে বিজেপি চুক্তি নিয়ে শিল্প মহল-সহ সব পক্ষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে।

বৃহস্পতিবার স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তারা। প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে দাবি সনদ পেশ করা হবে। যা যাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। সম্প্রতি বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এর পরেই স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

সম্প্রতি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ সংগঠনটির নেতা অশ্বিনী মহাজন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আরসিইপি কার্যকর হলে নিউজিল্যান্ড থেকে সস্তার দুগ্ধজাত পণ্য ভারতের বাজারে আসবে। তাতে ধাক্কা খাবে দেশের ডেয়ারি ব্যবসা। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন গোয়ালারা। আবার চিন থেকে আসা সস্তার পণ্যেও ছেয়ে যাবে দেশের বাজার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সংশ্লিষ্ট ১৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের নিট ঘাটতি ছিল ১০,৪০০ কোটি ডলার। চুক্তি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

সম্প্রতি আরসিইপি নিয়ে সংসদের নর্থ ব্লকে বৈঠকে বসেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন বাণিজ্য সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠী। সেখানে প্রস্তাবিত চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে চুক্তি নিয়ে আপত্তি উঠেছে মেনে নিয়েও বিজেপির মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ আগরওয়ালের বক্তব্য, ভারত বিশ্বের সামনে দরজা বন্ধ রাখতে পারে না। শিল্প যে সমস্ত উদ্বেগের কথা জানিয়েছে, চুক্তির সময়ে সেগুলি মাথায় রাখা হবে।

Business RCEP Swadeshi Jagaran Manch
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy