সহারা-কর্তা সুব্রত রায়
বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় বড়সড় ধাক্কা সুব্রত রায়ের।
বাজার থেকে তাঁর সংস্থার বেআইনি ভাবে তোলা টাকা লগ্নিকারীদের ফেরানোর জন্য এ বার মহারাষ্ট্রে সহারা গোষ্ঠীর ৩৯ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, অ্যাম্বি ভ্যালি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাতে বাকি আসলের আরও ১৪,৭৯৯ কোটি টাকা সংস্থাকে মেটাতে বাধ্য করা যায়। মুম্বইয়ের লোনাওয়ালা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে পুণের এই বিলাসবহুল উপনগরীটির গায়ে সাঁটা সহারার তৈরি সেরা প্রকল্পের তকমা। যা ছড়িয়ে ১০,৬০০ একর জুড়ে। এই নির্দেশে সেই সম্পত্তি যাবে আদালতের হেফাজতে।
সহারার বিরুদ্ধে অভিযোগ সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে টাকা তোলার। লগ্নিকারীদের তা ফেরানো নিয়ে সেবির সঙ্গে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার সেই মামলায় অ্যাম্বি ভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
পাশাপাশি বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে বন্ধকী নয় ও আইনি ঝক্কি থেকে মুক্ত সম্পত্তির তালিকাও দিতে হবে সহারাকে। যাতে সেগুলি নিলামে বেচে আদায় করা যায় ওই ১৪ কোটি। বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, বাকি টাকা আদায়ের মতো তালিকা হাতে এলে সংস্থাকে ফেরানো হবে অ্যাম্বি ভ্যালি।
এর আগে ২০১৯-এর জুলাইয়ের মধ্যে কিস্তিতে পুরো টাকা মেটানোর প্রস্তাব পেশ করে সহারা। এ দিন বেঞ্চ বলে, এই পরিকল্পনা বেশি লম্বা। সংস্থাকে দ্রুত টাকা মেটাতে বাধ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য। আদালত জানিয়েছে, লগ্নিকারীদের ফেরাতে আসল হিসেবে যে ২৪ হাজার কোটি টাকা সেবি-সহারা অ্যাকাউন্টে সুব্রতবাবুদের জমা করার কথা, এখনও পর্যন্ত তার প্রায় ১১ হাজার কোটি দেওয়া হয়েছে। বাকি আরও প্রায় ১৪ হাজার কোটির আদায় নিশ্চিত করতেই তাদের এ দিনের নির্দেশ।
আদালতের নির্দেশ মেনে সোমবারই সহারা জমা দিয়েছে আরও ৬০০ কোটি। যা চোকাতে বেশি সময় চেয়ে সহারার করা আর্জি ১২ জানুয়ারি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সময়ে তা না-দিতে পারলে সুব্রতবাবুকে আবার ফিরতে হবে জেলে। সেবি-সহারা মামলায় গত দু’বছরের বেশি জেলে থাকার পরে মায়ের মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
তবে আদালত লগ্নিকারীদের প্রাপ্য আসলের বাকি অংশ আদায়ের বন্দোবস্ত করার কথা বললেও, সহারার আর্থিক দায় যে আরও বেশি, তার হিসেব দিয়েছে সেবি। আসলের উপর গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সুদ হিসেব করে তা দাঁড়িয়েছে ৪৭,৬৬৯ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy