—প্রতীকী চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধির চড়া হার এবং মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের আয়ে ভাটার টান— এই দুই কারণে বেশ কিছু দিন ধরে চা, কফি, বিস্কুট, তেল, সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্টের মতো স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য বিক্রেতা সংস্থাগুলির ব্যবসা বৃদ্ধি আটকে ছিল তলানিতে। তবে তারা মনে করছে, কাঁচামালের দাম কিছুটা কমায় জানুয়ারি-মার্চে আয় ও ব্যবসার খরচের ফারাক (মার্জিন) কিছুটা বাড়বে। তাতে জ্বালানি জোগাতে পারে অর্থনীতির মাপকাঠিগুলির উন্নতি, ভাল বর্ষা এবং রবি শস্যের ভাল ফলন। কারণ, তাতে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা বাড়বে। চলতি অর্থবর্ষে সংস্থাগুলির এগিয়ে চলার পুঁজি এখন এই সব প্রত্যাশাই।
সংশ্লিষ্ট মহল অবশ্য সতর্ক। তারা মনে করাচ্ছে, গত বছর অনিয়মিত বর্ষায় শস্য-আনাজের ফলন যেমন বিঘ্নিত হয়েছিল, তেমনই দাম চড়েছিল। অত্যবশ্যক পণ্যের চাহিদা মেটানোর পরে নিচু আয়ের মানুষের মধ্যে কম জরুরি ভোগ্যপণ্য কেনার প্রবণতা কমেছিল। ফলে এ বার বর্ষা কেমন হয় ও মূল্যবৃদ্ধি কোথায় থাকে, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। তা ছাড়া ভোগ্যপণ্যের বিক্রি যে বিপুল বেড়েছে তা নয়। ফলে পরিস্থিতি অনিশ্চিত।
প্রকৃতপক্ষে আয়ের ফারাকের ফলেই ভোগ্যপণ্যের কেনাকাটায় শহরের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছিল না দেশের গ্রামাঞ্চল। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল সংস্থাগুলির। কারণ, তাদের ব্যবসার ৩৫-৩৮ শতাংশেরই উৎস গ্রাম। তবে গোদরেজ, ডাবর, ম্যারিকোর মতো সংস্থা জানিয়েছে, ইদানীং অত্যাবশ্যক পণ্যগুলির দামে স্থিতিশীলতা এসেছে। ফলে গ্রামে কিছুটা হলেও বিক্রিবাটা বৃদ্ধির লক্ষণ স্পষ্ট। শহরের সঙ্গে সেই ফারাকও কিছুটা কমেছে। জানুয়ারি-মার্চে ব্যবসা বৃদ্ধির হার থাকতে পারে ৫-৯ শতাংশের মধ্যে। চলতি অর্থবর্ষে তা আরও মাথা তুলবে বলে আশা। মার্জিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের প্রচারেও খরচ বাড়ানোর কথা ভাবছে তারা।
ম্যারিকো বলেছে, গত ত্রৈমাসিকে তাদের পণ্যের চাহিদায় ধারাবাহিকতা দেখা গিয়েছে। শহর-গ্রামের চাহিদা বৃদ্ধির ফারাক কমেছে। যদিও গোদরেজ কনজ়িমার প্রোডাক্টস ও ডাবরের বক্তব্য, তাদের বিক্রি এখনও সম্ভাবনার তুলনায় কম। তবে স্বাভাবিক বর্ষা এবং রবি শস্যের ফলন ভাল হলে আগামী দিনে ব্যবসার উন্নতি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy