—প্রতীকী ছবি
বাকি রাখা খাজনা মোটে ভাল কাজ না। অতএব গুনতেই হবে আয়কর। কিন্তু রোজের তেল-সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে জামাকাপড় বা রেস্তোরাঁয় কর তো আমরা সর্বত্রই দিই। তারপরেও আয়কর দেব কেন? এর কিছুটা দিতে হয় নিজেদের গাফিলতির জন্যেই। মার্চের জন্যে ফেলে রাখি যাবতীয় হিসেব নিকেশ। বিনিয়োগের আগে সাত পাঁচ ভাবিনা। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সারা বছর সচেতন ভাবেথাকলে সহজেই আয়কর থেকে মুক্তি মেলে।
আসুন, ঝালিয়ে নেওয়া যাক সেই ফন্দি-ফিকিরগুলো। বিনিয়োগ এবং খরচে লাগাম, এই দু’টিই হলকর বাঁচানোর মূল অস্ত্র।
বিমায় লগ্নি করুন
কর বাঁচানোর পয়লা নম্বর উপায় বিমা করা। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমা, এই দু’য়েরই প্রিমিয়ামের উপরে পাওয়া যায় ট্যাক্স ছাড়। তবে সব পলিসিতে এই সুবিধা নেই। বিমা করার সময়ে ভাল করে পড়ে দেখে নিন কী কী খাতে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে। এতে নিরাপত্তারও বন্দোবস্ত হল। করেও ছাড় পেলেন।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি অনুকূল, নতুন চুড়োয় সূচক
ইএমআই
গৃহঋণের ইএমআই-এর উপরে দু’ভাবে কর ছাড় পাওয়া যায়। ইএমআই-এর দু’টি অংশ—আসল এবং সুদ। এই আসলের উপর ৮০সি খাতে কর ছাড় হয়। আবার ইমআই-এর ‘ইন্টারেস্ট’ অংশটির জন্যেও ছাড় পাওয়া যায় বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
ইপিএফ, পিপিএফ-এর দ্বারস্থ হন
ইপিএফ, পিপিএফ, ট্যাক্স-ছাড়ের সুবিধা আছে এমন মিউচুয়াল ফান্ড বা ইকুয়িটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম, ট্যাক্স সেভিং এফডি, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম—এই সবগুলি হল কর বাঁচানোর মূল বিনিয়োগ-অস্ত্র।
অ্যালাওন্সের হিসেব রাখুন
ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স এবং মেডিক্যাল এক্সপেন্সের উপরেও পাওয়া যায় ট্যাক্স ছাড়।
বাচ্চার টিউশন ফি বড় ট্যাক্স সেভার
ছেলেমেয়েদের স্কুলের টিউশন ফি-তে বাঁচে ট্যাক্স। ফি যদি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হয় তো ভাল। ক্যাশে জমা করলে অবশ্যই যত্ন করে রেখে দেবেন রসিদ।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অফিসে নিজের প্রাপ্য বুঝে নিন
স্যালারি প্যাকেজের বেশ কয়েকটি অ্যালাওয়েন্স ট্যাক্স-ফ্রি। সেগুলি হল কনভেয়ান্স, ড্রাইভার, নিউজপেপার-বুকস-ম্যাগাজিন, ইউনিফর্ম, টেলিফোন ও মোবাইল, পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ও অফিস এন্টারটেইনমেন্ট। তবে সব পদে এই সব রকম অ্যালাওয়েন্স পাওয়া যায় না। নতুন চাকরি নেওয়ার সময়ে বা পদোন্নতির সময়ে এইচআর ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে এই বিষয়ে বিশদে জেনে নিতে পারেন।
নিজের লগ্লি-বিমার তথ্য অফিসকে দিন বছরের শুরুতে
অর্থবর্ষের শুরুতেই অফিসের অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টকে জানিয়ে দিন, এ যাবৎ আপনি কী কী বিনিয়োগ বা সাশ্রয় করেছেন এবং চলতি বছরে আর কী কী পরিকল্পনা আছে। হিসেব-নিকেশ করে যদি দেখা যায় যে, আপনার সমস্ত খাতে ছাড়ের পরেও কিছু টাকা কর দিতে হবে, তখন আপনার হাতে সময় থাকবে আরও নতুন কোনও বিনিয়োগ করে কর বাঁচানোর।
আরও পড়ুন: জল্পনার জট সঙ্কট বাড়াচ্ছে জেটের
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
বেতনভুকদের উপরে লাগু হয় ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স। শেয়ার, প্রপার্টি এবং সোনাদানা কেনার উপর এই ট্যাক্স চার্জ করা হয়। এর থেকে বাঁচার উপায় হল একটি নির্দিষ্ট ক্যাপিটাল গেইন-এর জন্য যত টাকা কর দেওয়ার কথা, অপর একটি খাতে ক্যাপিটাল লস দেখিয়ে সেই করের পরিমাণ যতটা পারা যায় বাঁচানো। এই জটিল অঙ্ক অবশ্যই একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে দিয়ে করাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy