প্রতীকী ছবি
স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি (এজিআর) বাবদ টেলিকম সংস্থাগুলির বকেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের হিসেবকেই মান্যতা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার পর টেলিকম সংস্থাগুলির পাশাপাশি, স্পেকট্রাম ব্যবহার করা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে মোটা অঙ্কের বকেয়া মেটানোর নোটিস পাঠাতে থাকে টেলিকম দফতর (ডট)। বৃহস্পতিবার সেই সংস্থাগুলির আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে এই নিয়ে তুলোধনা করল শীর্ষ আদালত। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে জানাল, ডটের উচিত এই দাবি প্রত্যাহার করা। না-হলে আদালত কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
উল্টো দিকে দফায় দফায় বকেয়া মেটাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ২০ বছর সময় দেওয়ার আর্জি জানানোর জন্যও কেন্দ্রকে এক হাত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। কত দিনের মধ্যে বকেয়া মেটাবে, সে ব্যাপারে সংস্থাগুলিকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। ১৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
গেল, অয়েল ইন্ডিয়া, পাওয়ার গ্রিড, দিল্লি মেট্রো-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছে এজিআর বকেয়া বাবদ মোট ৪ লক্ষ কোটি টাকা দাবি করেছিল ডট। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ জানিয়েছে, এজিআর সংক্রান্ত রায়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির কাছে বকেয়া চাওয়া যায় না। তা একেবারেই অনুমোদনযোগ্য নয়। ডটের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, কিসের ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছে বকেয়া চাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা দাখিল করবেন তাঁরা। তবে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, এজিআর-রায়ের পরেই কী ভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বকেয়ার প্রসঙ্গ উঠল?
আবার টেলিকম সংস্থাকে বাড়তি সময় দেওয়া প্রসঙ্গে আদালতের প্রশ্ন, বকেয়া মেটানোর জন্য এত দীর্ঘ সময় দেওয়ার ভিত্তি কী? সংস্থা এবং তার ডিরেক্টররা ‘গ্যারান্টি’ দিতে পারবেন কি? সলিসিটর জেনারেল জানান, এক বারে বকেয়া মেটাতে হলে সংস্থাগুলির আর্থিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ দিন এয়ারটেল আদালতকে জানিয়েছে, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে অবশিষ্ট বকেয়া মেটাবে। ভোডাফোন-আইডিয়ার বক্তব্য, কর্মীদের বেতন দেওয়ারই টাকা নেই তাদের।
আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণের পথে আরও ব্যাঙ্ক?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy