মাসখানেকের মধ্যেই দেশের সবক’টি নিলাম কেন্দ্রে একসঙ্গে চায়ের বৈদ্যুতিন নিলাম প্রক্রিয়া চালু হবে। তার আগে আগামী মঙ্গলবার ১০ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব রীতা টিওতিয়া। যদিও কর কাঠামো-সহ বেশ কিছু সমস্যার এখনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ চা শিল্পের একাংশের।
সারা দেশে ৭টি নিলাম কেন্দ্র রয়েছে— কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচি, কুন্নুর ও কোয়েম্বত্তুর। বাজারে প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা আনতে নিলাম ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বছর সাতেক আগে চালু হয়েছে ‘ই-অকশন’ বা বৈদ্যুতিন নিলাম। এখন বছরে প্রায় ৫৪ কোটি কিলোগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে বিক্রি হয়। কিন্তু চালু নিয়মে একটি নিলাম কেন্দ্রের চা কিনতে হলে সেখানেই নাম নথিভুক্ত করাতে হয় ক্রেতাকে। যেমন কলকাতার নিলাম কেন্দ্রে নথিভুক্ত ক্রেতা গুয়াহাটি থেকে চা কিনতে চাইলে তাঁকে সেখানেও নথিভুক্ত হতে হবে। আবার সবক’টি কেন্দ্রে একই সময়ে নিলাম চলে, এমনও নয়। অর্থাৎ, নিলামের বাজার সীমিত গণ্ডির মধ্যেই আটকে থাকে।
নিলাম ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ করতে সবক’টি কেন্দ্রে একই সঙ্গে বৈদ্যুতিন নিলাম ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছিল টি বোর্ড। নীতিগত ভাবে এই ব্যবস্থায় আপত্তি না-থাকলেও চা শিল্পের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে করের হার ভিন্ন। কী ভাবে কর নেওয়া হবে, তা নিয়ে সমস্যা ছিলই। এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার দাবি, এখনও তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই সংক্রান্ত বিধি বহু বার সংশোধিত হয়েছে। কিন্তু এখনও সবটা যথেষ্ট স্বচ্ছ নয়।’’ তবে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্তোষ ষড়ঙ্গী শনিবার বলেন, ‘‘যদি কোনও বিষয় এখনও অস্পষ্ট থাকে, চা শিল্পমহলের সঙ্গে কথা বলে বোর্ড তার সুরাহা করবে।’’
বোর্ড সূত্রের আরও দাবি, এ রাজ্যেই একমাত্র করের বিষয়টি নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। রাজ্যের বিক্রয়কর দফতরের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করছেন বোর্ড-কর্তারা। দেশে পণ্য-পরিষেবা কর চালু হলে সার্বিক ভাবেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy