প্রতীকী ছবি।
বৈদ্যুতিক গাড়িতে চড়া শুল্কের কারণেই এখানে এখনও তাঁরা গাড়ি আনেনি বলে জুলাইয়ে জানিয়েছিলেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। কর হ্রাসের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবারও করেন তিনি। চারটি সূত্রের খবর, গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে সেই একই দাবি জানিয়েছেন আমেরিকার বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাটির অন্যতম কর্তা মনুজ খুরানা-সহ অন্যেরা। পাশাপাশি, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মাস্কের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার আর্জিও জানিয়েছে টেসলা। যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষ।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, টেসলার এই দাবি ঘিরে দ্বন্দ্ব রয়েছে সরকারি কর্তাদের মধ্যে। তাঁদের একাংশের মতে, এই ছাড় দেওয়া হলে দেশীয় গাড়ি শিল্পের তরফে আপত্তি উঠবে। যারা ইতিমধ্যেই এই খাতে বিপুল লগ্নি করেছে। তাঁরা বলছেন, বাজারে টেসলা একটি সংস্থা হিসেবে বৈদ্যুতিক আনলে করছাড় হয়তো দেওয়া যেত, কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। আবার অন্য অংশ চান, আমদানি নয়, বরং ভারতেই সরাসরি গাড়ি তৈরি করুক সংস্থাটি। গত মাসেই সেই সওয়াল করেছিলেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। বলেছিলেন, চিনে তৈরি গাড়ি ভারতে না-বেচে এখানেই কারখানা খুলুক তারা। বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারও বলেন, এ দেশেই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করুক টেসলা। তারা শুল্কে যে ছাড় চাইছে, তা-ই সংস্থাটিকে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মাস্কের দাবি ছিল, এখানে কারখানা গড়তে হলে আগে গাড়ি আমদানির ব্যবসায় সাফল্য জরুরি। প্রশ্ন তোলেন ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো নিয়েও। এ দেশে এখন বিভিন্ন মাপকাঠি অনুযায়ী আমদানি করা গাড়িতে ৬০%-১০০% শুল্ক চাপে। এর আগে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠিতে টেসলার দাবি ছিল, ৪০,০০০ ডলারের বেশি দামের গাড়িতে আসলে শুল্ক প্রায় ১১০%। তা কমিয়ে ৪০% করার আর্জি জানিয়েছিল তারা। এতে কেন্দ্রের কোনও লোকসান হবে না বলেও তাদের দাবি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হারে শুল্কের জেরে ভারতে ব্যবসা করা টেসলার পক্ষে লাভজনক নয়। এ বার সেই কথাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়েছেন সংস্থার কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy