বাজেটে রাজকোষ ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল ছবি।
আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে গত বুধবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর্থিক বৈষম্য, বেকারত্ব, চড়া মূল্যবৃদ্ধির সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রস্তাবের পাশাপাশি, পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন তিনি। যাকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্প ও বণিকমহল। কিন্তু এই বাজেট বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগ বাড়াতে কতটা উৎসাহিত করবে, সে ব্যাপারে সংশয়ে তাদেরই একাংশ।
বাজেটে রাজকোষ ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। বণিকসভা সিআইআই, ফিকি, অ্যাসোচ্যাম, ভারত চেম্বার, মার্চেন্টস চেম্বার, বেঙ্গল চেম্বার, ইন্ডিয়ান চেম্বার, বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার তাকে স্বাগত জানিয়েছে।
সিআইআইয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা আর্থিক বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এটি সময়োপযোগী বাজেট। কিন্তু তার প্রশ্ন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির চড়া হারের মোকাবিলায় সরকারের ভাবনার ছাপ বাজেটে নেই কেন?’’ তাঁর আরও দাবি, সরকার পরিকাঠামোর কথা বললেও বেসরকারি ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করার তেমন দিশা নেই। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্র যে সমস্ত কর ছাড় পাচ্ছে তার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারত। বাজেটে ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন ইতিবাচিক দিক আছে জানালেও, বেসরকারি ক্ষেত্রের বিনিয়োগের বিষয়ে দীপঙ্করবাবুর সঙ্গে সহমত মার্চেন্টস চেম্বারের প্রেসিডেন্ট নমিত বাজোরিয়া। তাঁর বক্তব্য, নির্মলা সরকারি লগ্নির আশ্বাস দিলেও তার পুঁজি কোথা থেকে আসবে তা স্পষ্ট নয়। দীপঙ্করবাবুর মতে, সরকার বেশি ধার করলে সুদের হার বাড়বে। তাতে চাপ বাড়বে বেসরকারি ক্ষেত্রেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy