Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
H1B Visa

ফুরোচ্ছে সময়, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন

এইচ-১বি ভিসার সাহায্যে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলি অন্য দেশ থেকে দক্ষ পেশাদারদের সে দেশে নিয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি পেশাদার যান ভারত এবং চিন থেকে।

An image representing Visa

কাজ গিয়েছে ভারত থেকে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে সে দেশে যাওয়া বহু পেশাদারদের। প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫১
Share: Save:

গত বছর থেকে বিপুল কর্মী ছাঁটাই চলছে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে। কাজ গিয়েছে ভারত থেকে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে সে দেশে যাওয়া বহু পেশাদারদের। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ডায়াসপোরা স্টাডিজ়ের (এফআইআইডিএস) বক্তব্য, কাজ যাওয়ার পরে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন কাজ জোগাড় করতে না পারলে আমেরিকা ছাড়তে হবে ওই সমস্ত পেশাদারকে। অনেকের ক্ষেত্রেই তা শেষ হতে চলেছে। ওই সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।

Advertisement

এইচ-১বি ভিসার সাহায্যে আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলি অন্য দেশ থেকে দক্ষ পেশাদারদের সে দেশে নিয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি পেশাদার যান ভারত এবং চিন থেকে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এই ছাঁটাইয়ের বিরূপ প্রভাব আমেরিকার উপরে পড়তে পারে দীর্ঘ মেয়াদে। সে দেশের ৭০% স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতাই অভিবাসী। নথিভুক্ত ৫০টিরও বেশি সংস্থার সিইও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আশঙ্কা, আজ দেশ থেকে প্রতিভা চলে যাওয়া আগামী দিনে আমেরিকার পক্ষে খারাপ হতে পারে।

বিভিন্ন সূত্রের তথ্য, গত বছর থেকে আমেরিকায় এই ধরনের অন্তত ২.৫ লক্ষ ভারতীয় প্রযুক্তি পেশাদারের কাজ গিয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুকের প্রধান সংস্থা মেটা আরও ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। তা কার্যকর হলে ওই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এফআইআইডিএসের বক্তব্য, এঁদেরর অনেকের সন্তানের জন্ম আমেরিকায়। তাদের প্রকৃত অর্থেই নিজেদের দেশ ছাড়তে হবে।

সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এশিয়া-আমেরিকা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা পরিষদও ওই ৬০ দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮০ দিন করার সুপারিশ করেছে। আমেরিকার নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হোয়াইট হাউস। কিন্তু এফআইআইডিএসের আর্জি, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক প্রশাসন। কারণ, দেরি হওয়ার অর্থ অনেকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়া। বিশেষ করে কাজ যাওয়ার পরে যাঁদের দু’মাস শেষ হয়ে এসেছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.