জমির ন্যূনতম দাম একর প্রতি প্রায় তিন কোটি টাকা রাখায় সোনারপুর হার্ডওয়্যার পার্কে রাজ্যের লগ্নি টানার চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গিন যে, বাধ্য হয়ে দাম ছাঁটার আর্জি নিয়ে অর্থ দফতরের দরজায় হত্যে দিতে হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে। প্রশ্ন উঠেছে, লগ্নির জন্য এত চড়া দামে এখানে কেউ জমি কিনবেন কেন? তা ছাড়া রাজ্যের বাজারেও সে রকম চাহিদা আছে কি? এ বার সেই প্রশ্ন যাতে নৈহাটি ও ফলতায় বৈদ্যুতিন পণ্যের শিল্পতালুক তৈরির ক্ষেত্রে না-ওঠে, সে ব্যাপারে সাবধানী রাজ্য। সরকারি সূত্রে খবর, লগ্নি টানতে তাই দু’টি প্রকল্পেই জমির দর ধরাছোঁয়ার মধ্যে রাখার পথে এগোচ্ছে তারা। যেখানে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে একর প্রতি প্রায় কোটি টাকা দাম ধার্যের প্রস্তাব। যা এ বার অর্থ দফতরের সিলমোহর পেতে পারে বলেই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
নৈহাটিতে ৭০ একর ও ফলতায় ৫৮ একর জমির উপর শিল্পতালুকের (ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ক্লাস্টার) কাজ শুরু হয়েছে। তা তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম অ্যান্ড ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচারিং’ নীতি অনুযায়ী। যেখানে প্রকল্পের ৫০% খরচ জোগায় কেন্দ্র। কারণ, তাদের ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অন্যতম শরিক এ রকম তালুক। ২০২০ সালের মধ্যে যার সংখ্যা ২০০টিতে নিয়ে যেতে চায় তারা। সূত্রের দাবি, প্রকল্পটিতে সাফল্য পেতে রাজ্যও এ বার প্রথম থেকেই কোমর বেঁধে নামতে চাইছে। বিশেষ করে সোনারপুরে যেহেতু ভাল মতোই অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সোনারপুরে হার্ডওয়্যার পার্কের শিলান্যাস হয়। জমির পরিমাণ ছিল ১১ একর। যার ন্যূনতম দর ধরা হয় একর প্রতি প্রায় তিন কোটি। পরিকল্পনা ছিল, ২০১৫ সালেই পার্ক চালু করে দেওয়ার। লগ্নিকারী টানতে দু’বার নেটে জমি নিলাম করে রাজ্য। দফায় দফায় চাওয়া হয় দরপত্রও। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। শিল্পমহলের দাবি, এই রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী জমির এই দাম যুক্তিহীন। ফলে এখনও সেই তিমিরেই হার্ডওয়্যার পার্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy