Advertisement
১৮ মে ২০২৪

আমেরিকা-চিন লড়াই শুরু শুল্ক ক্ষেপণাস্ত্রে

বাণিজ্য নিয়ে চিন নিজের অবস্থান থেকে না সরলে, ৬ জুলাই থেকে কর চাপানোর হুমকি দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আমেরিকা-চিনের এই যুদ্ধের মাসুল চোকাতে হবে ওই দুই দেশ-সহ সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার ও অর্থনীতিকেই।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আমেরিকা-চিনের এই যুদ্ধের মাসুল চোকাতে হবে ওই দুই দেশ-সহ সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার ও অর্থনীতিকেই।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন ও বেজিং শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

হুমকি, পাল্টা হুমকি চলছিল অনেক দিন ধরেই। বার বার বৈঠকেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ‘কথা রেখে’ চিনা পণ্যের উপরে শুল্ক চাপিয়ে পুরোদস্তুর শুল্ক যুদ্ধ শুরুর ভেরি বাজালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাঘাতের কথা জানিয়েছে বেজিংও। সমমূল্যের মার্কিন পণ্যে একই হারে কর বসিয়েছে তারা। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ বার এই যুদ্ধের মাসুল চোকাতে হবে ওই দুই দেশ-সহ সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার ও অর্থনীতিকেই।

বাণিজ্য নিয়ে চিন নিজের অবস্থান থেকে না সরলে, ৬ জুলাই থেকে কর চাপানোর হুমকি দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বলেছিল, সে ক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৩,৪০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে ২৫% শুল্ক বসবে। তাতেও বেজিং বাগে না এলে ৫,০০০ কোটির পণ্য তার আওতায় আসার সম্ভাবনা। এ দিন প্রথম দফার শুল্কই চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। প্রত্যাঘাতের রাস্তায় হেঁটে চিনও একই অঙ্কের মার্কিন পণ্যে একই হারে শুল্ক চাপিয়েছে।

ট্রাম্প অবশ্য দমবার পাত্র নন। চিনের হুঙ্কার আঁচ করে তিনি আগাম বলে রেখেছেন, বেজিং বদলা নিলে এর পরে ১০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বসানো হবে। তার প্রাথমিক তালিকাও নাকি তৈরি।

ট্রাম্পের টর্পেডো

• ৩,৪০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শেষমেশ ২৫% শুল্ক বসাল আমেরিকা। হুমকি মোট ৫ হাজার কোটির পণ্যে শুল্ক চাপানোর।

• প্রথম তালিকায় চিনে তৈরি গাড়ি, মেশিন, বৈদ্যুতিন পণ্য, সেমিকন্ডাক্টর, কম্পিউটার, এলইডি, হার্ড ড্রাইভ ইত্যাদি।

বেজিংয়ের পাল্টা

• ৩,৪০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে একই হারে (২৫%) শুল্ক বসাচ্ছে চিনও।

• প্রথম তালিকায় সম্ভবত গাড়ি, সয়াবিন ইত্যাদি পণ্য।

• করের কবলে নানা কৃষিপণ্য। সঙ্গে গলদা চিংড়ি, টুনা মাছের মতো সামুদ্রিক পণ্যও।

দু’পক্ষের এই তাল ঠোকাঠুকিতে স্বাভাবিক ভাবেই কাঁপুনি সারা বিশ্বে। তার উপরে যখন মার্কিন পণ্যে শুল্ক বসানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়াও। বিশেষজ্ঞদের এক বড় অংশের মতে, এই ‘বিশ্বযুদ্ধে’ ক্ষান্ত না দিলে, রক্ত ঝরবে বিশ্বের বাজারে। ধাক্কা খাবে বিক্রি। চাকরি খোয়াবেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trade Fight China-America
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE