মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর ধাক্কা এড়াল ভারতের শেয়ার বাজার।
বুধবার ভারতীয় সময় মাঝরাতে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিন্তু সেই সঙ্গেই তারা জানিয়ে দেয়, তড়িঘড়ি আবার সুদ বাড়ানো হবে না। বরং এ ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নেওয়া হবে। এই খবরেই ভয় ঝেড়ে ফেলে বাজারে ফেরেন লগ্নিকারীরা। ফের সর্বকালীন রেকর্ড ছোঁয় নিফ্টি। বৃহস্পতিবার সূচকটি ৬৮.৯০ পয়েন্ট উঠে থামে ৯১৫৩.৭০ অঙ্কে। নিফ্টির ইতিহাসে, গত মঙ্গলবারের পরে এটাই বাজার বন্ধকালীন সর্বোচ্চ অঙ্ক।
মঙ্গলবার ৪৯৬ পয়েন্ট বাড়ার পরে বুধবার ৪৪ পয়েন্ট পড়েছিল সেনসেক্স। বৃহস্পতিবার তা ১৮৭.৭৪ পয়েন্ট উঠে থিতু হয় ২৯,৫৮৫.৮৫ অঙ্কে। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, বাজারে শেয়ারের দামে সংশোধন না-হলে, খুব শীঘ্রই সেনসেক্স ৩০ হাজারের রেকর্ড ভেঙে ফেলবে।
এ দিকে প্রায় প্রতিদিনই মোটা অঙ্কের শেয়ার কিনে চলেছে বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি। গত ৮ মার্চ ওই সব সংস্থা ৩,৫৭৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিল। এ দিন কিনেছে ১,৩৬০ কোটির শেয়ার। আগের দিন অর্থাৎ বুধবার তাদের লগ্নি ছিল ১,১৪১.১৩ কোটির। এই বিষয়টিই ভাঁজ ফেলেছে অনেকের কপালে। এঁদের আশঙ্কা, বাজারে যে-কোনও সময়েই বড় মাপের সংশোধন আসতে পারে। আর, তা হবে বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রির হাত ধরেই। সেই কারণেই তারা এত শেয়ার কিনছে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এসে কে কৌশিক বলেন, ‘‘ওই সব সংস্থা যে-কোনও দিন থেকেই টানা শেয়ার বিক্রি শুরু করতে পারে।’’ স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখও জানান, ‘‘ওই সব সংস্থা প্রায় ২০ দিন ধরে টানা বড় অঙ্কের লগ্নি করে চলেছে। আমার আশঙ্কা, বাজার আর কিছুটা উঁচুতে তুলে দিয়ে বিদেশি সংস্থাগুলি মুনাফার টাকা তুলতে শেয়ার বিক্রি শুরু করতে পারে। তখন দ্রুত পড়বে সূচক।’’ অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট, এখন ঝুঁকি বেড়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের বাজার থেকে দূরে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন পারেখ ও কৌশিক উভয়েই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy