আদানি গোষ্ঠী-হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কাণ্ডের পরে ফের আমেরিকার এক আগাম শেয়ার লেনদেনকারী সংস্থার (শর্ট সেলার) অভিযোগের মুখে পড়ল ভারতীয় সংস্থা। এ বার বেদান্ত গোষ্ঠীর আর্থিক হাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভাইসরয় রিসার্চ। দাবি, অনিল আগরওয়ালের বেদান্তের ‘আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়’। গোষ্ঠী দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। শুধু ঋণ নিয়ে ভেসে রয়েছে। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়ছে ঋণদাতারা। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেছে বেদান্ত। তাদের দাবি, গোষ্ঠীর ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই এই অভিযোগ। তবে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই বুধবার সংস্থার শেয়ার দর পড়ে ৬%। পরে তা উঠলেও, গত- কালের থেকে দাম ছিল ৩.৫৪% কম।
উল্লেখ্য, হাতে শেয়ার বা ঋণপত্র (বন্ড) না থাকা সত্ত্বেও, তা আগে থেকেই বিক্রি করাকে বলে শর্ট সেলিং। শেয়ার বা বন্ডের দাম আগামী দিনে কমবে ধরে নিয়ে শর্ট সেলার-রা তা আগাম বিক্রি করে। সেই চুক্তি করার সময়ে শেয়ার বা ঋণপত্রের যে দাম ছিল, তার থেকে হস্তান্তরের জন্য তা কেনার সময় দাম কমলে মুনাফা হয়। দাম বাড়লে লোকসান।
বেদান্ত গোষ্ঠীর বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) এক দিন আগে ভাইসরয়-এর দাবি, গোষ্ঠীর মূল সংস্থা বেদান্ত রিসোর্সের ঋণপত্র আগাম বিক্রি করছিল তারা। দেখা গিয়েছে, সংস্থাটির বাজারে ঋণের অঙ্ক বিপুল। পুরো গোষ্ঠীর আর্থিক কাঠামো স্থিতিশীল নয়। ফলে ঋণদাতাদের ঝুঁকি মারাত্মক বেশি। আমেরিকার সংস্থাটির আরও দাবি, বেদান্ত রিসোর্স মূল সংস্থা হলেও ‘পরজীবীর’ মতো আচরণ করে। তাদের নিজেদের ব্যবসা নেই। গোষ্ঠীর খনন সংস্থা বেদান্তের থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ঋণ মেটায়। ফলে বেদান্তের নগদ কমছে ও বেশি করে ধার করতে হচ্ছে। ফলে পুরো গোষ্ঠীই দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে।
বেদান্তের দাবি, ৮৫ পাতার রিপোর্টতৈরির আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ভাইসরয়। সেটি প্রকাশের সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। তবে ভাইসরয় নিজেদের বক্তব্যে স্থির।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)