নোট বাতিলের জেরে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু চা বাগানে শুক্রবার সাপ্তাহিক বেতন বণ্টন হল না। আবার আলিপুরদুয়ারের নিউ ল্যান্ডস বাগানের কর্মীরা বেতন পেলেন বাতিল হওয়া নোটে। যা ভাঙাতে গিয়ে ফড়েদের কাছে কয়েক’শ টাকা করে গুণাগার দিতে হয়েছে বলে ইউনিয়নগুলির অভিযোগ। উল্লেখ্য, সাধারণত শুক্র-শনিবার বাগান-গুলিতে নগদে কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়।
অবশ্য এই বেতন-সমস্যা মেটাতে অসম সরকার অন্তত একটি রফাসূত্র বের করেছে বলে দাবি ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ)। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সরকারি দফতর জরুরি প্রয়োজনের প্রমাণ দিলে দিনে ১০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবে। তা দেখে অসমের শিবসাগরের ৮৬টি বাগানকে চিঠি দিয়ে ওই রাজ্যের শ্রম দফতর বলেছে, বাগানগুলির জন্য ব্যাঙ্কগুলি একটি সাধারণ অ্যাকাউন্ট খুলবে। বেতনের চাহিদা মতো সেখান থেকে প্রয়োজনীয় টাকা তোলা যাবে।
নগদে খামতির জন্য সপ্তাহ শেষে মজুরি দেওয়া নিয়ে গোড়া থেকেই সংশয়ী চা শিল্প। তাদের বক্তব্য, সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ হাজার তোলার যে নির্দেশ আরবিআই দিয়েছে, শুধু বেতন দিতেই তার চেয়ে বেশি টাকা লাগে। এ নিয়ে আইটিএ-র পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টা-ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেয়। সিস্টা জানায়, মুখ্য সচিব এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছেন।
নিউ ল্যান্ডস বাগানের সমস্যা প্রসঙ্গে ডেপুটি ম্যানেজার সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘নোট বাতিলের ঘোষণার আগেই টাকা তুলেছিলাম। শ্রমিকরা পুরনো নোটে টাকা নিতে রাজি হওয়ায় তা দিয়েই মজুরি দিয়েছি।’’
আইটিএ-র চেয়ারম্যান আজম মোনেম এ দিন বলেন, ‘‘অসমের উদাহরণ রয়েছে। আশা করি, পশ্চিমবঙ্গেও এই ব্যবস্থা চালু হবে।’’ একই আশা সিস্টা-র প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তীরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy