E-Paper

পাইকারি দর বৃদ্ধি সামান্যই, খাবারে দুশ্চিন্তা বহাল

বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, এ বারের গ্রীষ্মে (এপ্রিল-জুন) তাপমাত্রার পারদ চড়তে চলেছে নজিরবিহীন উচ্চতায়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৪
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

গত মাসে দেশের পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার যৎসামান্য বেড়ে হল ০.৫৩%। ফেব্রুয়ারিতে তা ০.২% ছিল। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, এমনিতে সংখ্যার বিচারে এই বৃদ্ধির তেমন কোনও তাৎপর্য নেই। কিন্তু আজ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের গভীরে গেলে দেখা যাচ্ছে, মূল রোগ এখনও নিরাময়ের ধারেপাশে পৌঁছয়নি। আনাজ, আলু, পেঁয়াজ এবং অশোধিত তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম ভয়াবহ ভাবে লাফ দিয়েছে। ঠিক যেমনটা ঘটেছে মার্চে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিতে। পাইকারি বাজার দর নিচু রয়েছে আদতে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি বাদে অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার (কোর ইনফ্লেশন) কম থাকার জন্য (শূন্যের ১.১% নীচে)।

বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, এ বারের গ্রীষ্মে (এপ্রিল-জুন) তাপমাত্রার পারদ চড়তে চলেছে নজিরবিহীন উচ্চতায়। একই সঙ্গে বিশ্ব বাজারে ব্যারেল প্রতি অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দামও সম্প্রতি ৯০ ডলার পার করেছে। পশ্চিম এশিয়ার অশান্তির জেরে সেই দাম আরও চড়তে পারে। এই দুয়ের জেরে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম আরও বাড়লে সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধির উপরে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। উল্টো দিকে আবার স্বস্তির খবর হল, আজ আবহাওয়া দফতর এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি (১০৬%) বর্ষার পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে আগামী দু’তিন মাস সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের একটি অংশ আবার বলছে, ঋণনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক মূলত খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু সেই বাজারের উপরে আবার পাইকারি দরের একটা প্রভাব থাকে। যার প্রতিফলন ঘটতে কয়েক দিন সময় লাগে। খাবারদাবারের দামকে নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে শিল্পের দাবি মেনে অদূর ভবিষ্যতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের পক্ষে আদৌ সুদ কমানো সম্ভব কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিল-অক্টোবরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে ছিল। যদিও খুচরো বাজারে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। খাবারের দাম ছিল চড়া।

মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের সিনিয়র ডিরেক্টর সুনীল কুমার সিন্‌হা বলেন, ‘‘খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ খাদ্যশস্যের মাথা তোলা দাম। ডাল এবং আনাজের মতো যে সমস্ত পণ্যের উপরে সাধারণ মানুষ নির্ভর করেন, সেগুলির দামও বেড়েছে।’’ উল্লেখ্য, মার্চে দেশের খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার (৪.৮৫%) পাঁচ মাসের সর্বনিম্ন হয়েছে বটে, কিন্তু খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রয়ে গিয়েছে ৮.৫২ শতাংশে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Retail Market

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy