প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণায় দেরির কারণে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রকে সালিশি নোটিস পাঠাল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ (আরআইএল), বিপি এবং নিকো। শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে আরআইএল এবং কে জি বেসিনের গ্যাস উত্তোলনে তার ওই দুই সহযোগী সংস্থা।
বিবৃতিতে ওই তিন সংস্থার দাবি, কে জি বেসিন থেকে তোলা গ্যাসের জন্য নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল গত ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে ক্রমাগত দেরির কারণেই সালিশি নোটিস পাঠানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হল তারা। তাদের অভিযোগ, ওই গ্যাস ক্ষেত্রে এ বছর প্রায় ৪০০ কোটি ডলার লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কিন্তু দামের বিষয়টি স্পষ্ট না-হওয়া পর্যন্ত টাকা ঢালা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে, কে জি-ডি৬ ব্লকে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে আগামী কয়েক বছরে যে ৮০০-১,০০০ কোটি ডলার লগ্নির পরিকল্পনা আছে, তা-ও এতে থমকে রয়েছে বলে তাদের দাবি।
রিলায়্যান্স-সহ ৩ সংস্থার অভিযোগ, তেল মন্ত্রক নিযুক্ত রঙ্গরাজন কমিটি গ্যাসের দর নির্ধারণের ফর্মুলা বাতলানোর পরেও তা কার্যকর করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। চুক্তিতে গোড়া থেকেই ঠিক ছিল, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৪.২ ডলারে প্রতি ১০ লক্ষ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ১ এপ্রিল থেকে ওই ফর্মুলা মেনে কার্যকর হবে নয়া দর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিষয়টি সায়ও পেয়েছিল। কিন্তু এর পর ভোট এসে পড়ায় নয়া দর চালু করতে বারণ করে নির্বাচন কমিশন।
এর পরও প্রতিবাদ জানিয়ে পুরনো দরে গ্যাস উৎপাদন জারি রেখেছে বলে দাবি করেছে সংস্থাগুলি। কিন্তু এখন তেল মন্ত্রকের ইঙ্গিত থেকে তাদের মনে হচ্ছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আগে নয়া দর ঘোষণার কোনও আশা নেই। আর সেই কারণেই অবশেষে সালিশির পথে হাঁটা।
ওই কে জি-ডি৬ ব্লকেই কম গ্যাস উৎপাদনের জন্য ১৮০ কোটি ডলার জরিমানা চেপেছিল তিন সংস্থার ঘাড়ে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে সালিশি প্রক্রিয়ায় রয়েছে তারা। এর জন্য ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস পি ভারুচার নাম বাছে রিলায়্যান্স। আর কেন্দ্রের প্রতিনিধি ছিলেন আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ভি এন খারে। এর পর গত মাসে অস্ট্রেলীয় হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মাইকেল হাডসন ম্যাকহিউকে ওই সালিশির তৃতীয় ও নিরপেক্ষ মধ্যস্থতা-কারী হিসেবে নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে গ্যাসের দর নিয়ে এই সালিশিও ওই প্যানেলের কাছে যাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, কে জি-ডি৬ ব্লকে আরআইএল, বিপি ও নিকোর অংশীদারি যথাক্রমে ৬০, ৩০ ও ১০ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy