ডলারের সাপেক্ষে টাকার ৬৫ পয়সা পড়ে যাওয়া। এবং সেনসেক্সের ২৪৩ পয়েন্ট নীচে নামা। বুধবার দেশের আর্থিক ছবিকে কিছুটা ম্লান করে রাখল এই জোড়া ধাক্কা। এ দিন টাকার দামের ওই পতন ছিল গত ছ’মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিনের শেষে এক ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬১.৪৯ টাকা। অন্য দিকে, সেনসেক্স থিতু হয় ২৫,৬৬৫.২৭ অঙ্কে।
এ দিন টাকার দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল বিপুল ডলারের চাহিদা। যে চাহিদা শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বেরিয়ে যেতে থাকার ফলেই তৈরি হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা। আর যে সব কারণে তারা ভারতের বাজার থেকে শেয়ার বেচে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নেয়, তার মধ্যে ছিল l মার্কিন মুলুকে পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধি গত সাড়ে আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্কে পৌঁছনো। ফলে অনেকেই লগ্নি সরাচ্ছে চাঙ্গা হতে থাকা মার্কিন বাজারে। l ইউক্রেন সীমান্তে নতুন করে অশান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধার খবর। এর জেরে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কায় আমদানিকারীরা ডলার সঞ্চয় করতে শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি গতকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতিতে এসএলআর এবং হেল্ড টু ম্যাচিওরিটি খাতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির টাকা রাখার হার কমানোয় ঋণপত্রের দাম কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আগেভাগেই ঋণপত্র বেচে ডলার তুলে নিতে দেখা যায় ওই সব লগ্নিকারী সংস্থার এক বড় অংশকে।
অন্য দিকে, মার্কিন অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়া ও নতুন করে ইউক্রেন সমস্যা মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কায় ভারতের শেয়ার বাজারের মুখও ছিল নীচের দিকে। তার উপর গত দু’দিন ৪২৭ পয়েন্ট বাড়ার পর এ দিন মুনাফা ঘরে তোলার জন্য শেয়ার বিক্রির হিড়িক ছিল বেশি। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এ সবই সাময়িক পদক্ষেপ। দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের বাজার এখনও ভাল অবস্থায় বলে দাবি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy