Advertisement
০৪ মে ২০২৪
লক্ষ্য গবেষণা কেন্দ্র গড়া

রাজ্যের ন্যানো প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে জোট পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের

ভারতে ‘ন্যানো’ প্রযুক্তির প্রথম ব্যবসায়িক প্রয়োগ এ রাজ্যের সংস্থার হাত ধরেই। এ বার সেই সংস্থা ‘আই-ক্যান ন্যানো’-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ভারতীয় নভিকিয়া বিদ্যুৎ নিগম বা ভাবিনি। পরমাণু শক্তি দফতরের এই সংস্থা প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য রাজ্যের সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করছে। সম্প্রতি কলকাতায় আই-ক্যান ন্যানোর কারখানায় এসে এই গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করেন ভাবিনির প্রধান প্রভাত কুমার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫২
Share: Save:

ভারতে ‘ন্যানো’ প্রযুক্তির প্রথম ব্যবসায়িক প্রয়োগ এ রাজ্যের সংস্থার হাত ধরেই। এ বার সেই সংস্থা ‘আই-ক্যান ন্যানো’-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ভারতীয় নভিকিয়া বিদ্যুৎ নিগম বা ভাবিনি। পরমাণু শক্তি দফতরের এই সংস্থা প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য রাজ্যের সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করছে। সম্প্রতি কলকাতায় আই-ক্যান ন্যানোর কারখানায় এসে এই গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করেন ভাবিনির প্রধান প্রভাত কুমার।

ন্যানো টেকনোলজির ব্যবসায়িক প্রয়োগ এক বাঙালি বিজ্ঞানীর হাত ধরেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি বম্বের প্রাক্তন ছাত্র অরূপ চট্টোপাধ্যায় শুরু করেছেন এমন এক ব্যবসা, যা বিশ্বের নবীনতম প্রযুক্তি ন্যানো টেকনোলজিকে কাজে লাগাচ্ছে। বাঙালির মেধা বনাম ব্যবসার চিরাচরিত লড়াই টপকে নিজের গবেষণালব্ধ সৃষ্টিকে আমজনতার জীবনে পৌঁছে দিতে চান তিনি।

এই ভাবনার সূত্র ধরেই জন্ম ‘আই- ক্যান ন্যানো’ সংস্থার। সূত্রপাত ২০০৪-এ। তবে ট্রেডমার্ক মেলে ২০০৬-এ। এর পরে গবেষণাগার থেকে পাইলট প্রকল্পের রাস্তা ধরে অবশেষে ব্যবসায়িক উৎপাদন শুরু হয়েছে ২০০৭ সালে। অরূপবাবুর দাবি, আপাতত সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। চলতি অর্থবর্ষের শেষে এই অঙ্ক ৬০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

অণু-পরমাণু নিয়ে ন্যানো- টেকনোলজির জগৎ। এক মিটারের একশো কোটি ভাগের এক ভাগ মাপ ন্যানোমিটারের। কার্বন, লোহা, সোনা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদির অণু-পরমাণুর গুণ বিচার করে সম্পূর্ণ নতুন জিনিস তৈরি করতে পারে এই প্রযুক্তি। স্বাস্থ্য, ইলেকট্রনিক্স, জৈব প্রযুক্তি, যে-কোনও ধরনের রং ও নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত জিনিস সব কিছুই এই প্রযুক্তির সহায়তায় পেতে পারে নয়া দিশা। যেমন ন্যানো তৈরি করতে পারে এমন একটি জিনিস, যা ইস্পাতের চেয়ে ১০০ গুণ শক্ত। অথচ ওজন ছ’ভাগের এক ভাগ।

১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ন্যানো প্রযুক্তির বিশ্ব বাজার। ভারতেও সম্ভাবনা বিশাল। কিন্তু এখনও এই বাজার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই বাজার ধরতেই ঝাঁপাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nano technology firm nuclear power plant coalition
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE