Advertisement
E-Paper

হিন্দমোটর নিয়ে দ্বিতীয় ত্রিপক্ষ বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র

হিন্দুস্তান মোটরস নিয়ে দ্বিতীয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও নিষ্ফলাই রইল। কবে কারখানা খুলবে, তার কোনও দিশা মেলেনি মঙ্গলবারের বৈঠকে। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মেটানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও কবে তা মিলবে, তারও কোনও সদুত্তর পাননি কারখানার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তবে শ্রম সচিব অমল রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, বকেয়া বেতন মেটানো ও কারখানা পুনরুজ্জীবন নিয়ে তাঁদের কী পরিকল্পনা, তা লিখিত ভাবে আগামী কাল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে সংস্থা-কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০২:৫৭

হিন্দুস্তান মোটরস নিয়ে দ্বিতীয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও নিষ্ফলাই রইল। কবে কারখানা খুলবে, তার কোনও দিশা মেলেনি মঙ্গলবারের বৈঠকে। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মেটানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও কবে তা মিলবে, তারও কোনও সদুত্তর পাননি কারখানার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তবে শ্রম সচিব অমল রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, বকেয়া বেতন মেটানো ও কারখানা পুনরুজ্জীবন নিয়ে তাঁদের কী পরিকল্পনা, তা লিখিত ভাবে আগামী কাল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে সংস্থা-কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গত ২৪ মে থেকে বন্ধ হিন্দুস্তান মোটরস। কয়েক দফার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে গত বৃহস্পতিবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছিল রাজ্য। কিন্তু সে দিন সংস্থা কর্তৃপক্ষ ‘উপযুক্ত’ প্রতিনিধি পাঠাননি বলে রাজ্য সরকার ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলি অভিযোগ করেছিল। ফলে বৈঠক ভেস্তে যায়।

এ দিন শ্রম সচিবের ডাকা বৈঠকে অবশ্য সংস্থার সিইও মলয় চৌধুরী এসেছিলেন। ছিলেন গত বৈঠকে উপস্থিত থাকা সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট (কর্পোরেট এইচআর) অসীম ঘোষও। এ ছাড়া কারখানার ছ’টি ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও আশ্বাস মেলেনি।

শ্রম সচিব অমলবাবু জানান, এখন শ্রমিকদের ৫ মাস ২৪ দিনের বেতন বাকি। বকেয়া বেতন মেটানো ও কবে কারখানা খুলবে, এই দু’টিই ছিল এ দিনের আলোচনার মূল বিষয়। তিনি বলেন, “কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন, বেতন বকেয়া থাকবে না। তবে কবে থেকে তা মেটানো হবে, সে ব্যাপারে ৩০ জুনের আগে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না। ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর নোটিস প্রত্যাহার নিয়ে নানা সম্ভাবনা তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। তবে শুধু মৌখিক ভাবে জানানো নয়, কারখানা পুনরুজ্জীবন ও বকেয়া বেতন মেটানোর পরিকল্পনা লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। ওঁরা পরশু তা জানাবেন।”

কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলতে চাননি সংস্থার সিইও মলয়বাবুও। তিনি জানান, চেন্নাই কারখানার সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে এ দিনও তাঁর দাবি, কারখানার ৩১৪ একর জমি বিক্রি ও তা থেকে পাওয়া অর্থের হিসেব ‘বহু বার’ রাজ্যকে তাঁরা জানিয়েছেন।

পরে সন্ধ্যায় সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, তারা যে-সব ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হচ্ছে, তা বৈঠকে সকলকে জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মেটাতে সংস্থা দায়বদ্ধ। সম্পত্তি বেচে অর্থের সংস্থান হলেই তা মেটানো হবে। তবে কারখানা পুনর্গঠন জরুরি। অ্যাম্বাস্যাডরের বিক্রি কমে যাওয়া ও তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সংস্থা পুনর্গঠনের প্রতিবন্ধকতার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন কর্তৃপক্ষ। পুনর্গঠন করে সংস্থার দায় কমানোর জন্য তাঁরা সময় চেয়েছেন। যদিও পুনর্গঠন বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে, তা ব্যাখ্যা করেনি সংস্থা।

তবে কারখানা খোলা নিয়ে আশাবাদী শ্রম সচিব। তাঁর দাবি, কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ভাবে কারখানা বন্ধের কথা বলেননি। সাময়িক কাজ বন্ধের নোটিস দিয়েছেন।

hindmotor three party meeting hindusthan motors
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy