বমাল: উদ্ধার হওয়া বাজি। শুক্রবার, সল্টলেকে। নিজস্ব চিত্র
কেঁচো খুঁড়তে কেউটে।
এ বার শব্দবাজি আটক হল তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে। শুক্রবার বিকেলে বিধাননগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাসবী দত্তের বাড়ি থেকে ১২৫ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। যদিও তার পরে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে বাজির কোনও দাবিদার না থাকায় এ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। এমনকি, কাউকে আটকও করা হয়নি। যদিও মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবারই স্থানীয় এক বাজি ব্যবসায়ীকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এলাকা সূত্রে খবর, কাউন্সিলর বাসবীদেবীর দেওর কালীপদ দত্তের বাজির পাইকারি ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা একই বাড়িতে থাকেন। দু’ বছর আগেও বাসবীদের বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করেছিল পুলিশ। বাজি আটক করার পরে কালীপদবাবুকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি বলেই দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানায়, বাসবীদেবীর অশ্বিনীনগরের বাড়িতে হানা দিয়ে থেকে ১৪০০টি ফানুস, ৫৭৬টি দোদোমা, ৮০টি ১২ শটস, ১০টি ৩০ শটস এবং ১৫টি শেল উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ শব্দবাজির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কিলোগ্রাম।
আরও পড়ুন: ওই দু’ঘণ্টার বাইরে বাজি পোড়ালেই গ্রেফতার, বলে দিল কলকাতা পুলিশ
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির উঠোনে থরে থরে সাজানো ছিল দোদোমা, শেল, শটসের বাক্স। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে বাগুইআটি, এনএসসিবিআই, এয়ারপোর্ট ও নারায়ণপুর থানায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফানুস নিষিদ্ধ করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। কালীপদবাবুর বাড়ি থেকে এক কার্টন ফানুসও উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই স্থানীয় রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় শ্যামল দে নামে জনৈক বাজি ব্যবসায়ীকে ১৫ কিলোগ্রাম নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখানে বাসবীদেবীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার বাজির পরিমাণ ১২৫ কিলোগ্রাম।
বাসবীদেবী তৃণমূলের কাউন্সিলর। তাঁর স্বামী শঙ্করপ্রসাদ (ভানু) দত্ত প্রাক্তন তৃণমূলের কাউন্সিলর তথা এলাকার দাপুটে নেতা।
এক দিকে যখন পুলিশ বলছে বাজিগুলি দাবিদারহীন, তখন বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভানুবাবুর বক্তব্যকে ঘিরে। ভানুবাবুর কথায়, ‘‘ওই বাজিগুলি তিন-চার বছরের পুরনো শব্দবাজি। সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমরাই ফেলেই দিতাম। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ফানুসগুলি যখন তুলেছিলাম তখনও ফানুস এখানে নিষিদ্ধ ঘোষণা হয়নি।”
যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, বাজিগুলি তাজা।
তাই প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে ভানুবাবু নিজেই ওই বাজিগুলির দায় স্বীকার করছেন তবে কেন পুলিশ বাজিগুলি দাবিদারহীন বলে ঘোষণা করছে?
মুখে কুলুপ এঁটেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। অন্য দিকে, বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারাও এই ঘটনা নিয়ে বিশদে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy