ভাইফোঁটার রাতের ঘটনায় শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
পুজো মণ্ডপের সামনে ঝগড়া বেধেছিল দর্শকদের লাইনে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থা, মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। দুর্গানগরে ভাইফোঁটার রাতের সেই ঘটনায় দু’পক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ।
ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে খবর, মাসতুতো দাদা বাবাই মণ্ডল ও এক বৌদির সঙ্গে দুর্গানগর পোস্ট অফিস মোড়ে প্রতিমা দেখার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাবাইয়ের অভিযোগ, রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে তাঁর বোনের উদ্দেশে দুর্গানগর রেল কলোনির বাসিন্দা শুভঙ্কর দাস ও তাঁর সঙ্গীরা কটূক্তি করেন। বাবাই প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তেরা সকলে তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাবাই থানায় যে অভিযোগ করেছেন, সেখানে শুভঙ্করের পাশাপাশি তাঁর ভাগ্নে এবং ভাগ্নের এক বন্ধুর নামও রয়েছে। অভিযুক্ত সেই দু’জন নাবালক। এ দিন বাবাইয়ের মাসতুতো বোন বলেন, ‘‘কটূক্তির পরে গণ্ডগোল শুরু হলে মাসি ঘটনাস্থলে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। আমাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওরা।’’ নাবালিকা ছাত্রীর মাসি বুড়ি মণ্ডলের কথায়, ‘‘শুভঙ্করের বাড়ির মহিলারা আমাকে মেরে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়।’’
উল্টো দিকে শুভঙ্করের পরিজনেরা বাবাই ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধেই শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। শুভঙ্করের দিদি টুম্পা মণ্ডলের বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত সন্ধ্যায়। টুম্পার দাবি, ঘটনাস্থলে শুভঙ্কর আদৌ ছিলেন না। ছিল তাঁর নাবালক ছেলে ও তার বন্ধুরা। তাঁর আরও দাবি, বাবাই ও তাঁর বোন দুর্গানগর পোস্ট অফিস মোড়ে যখন প্রতিমা দর্শনের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন তাঁর ছেলে ও ছেলের বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা-ইয়ার্কি করছিল। কিন্তু হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগে বাবাই তাদের উপরে চড়াও হন। টুম্পার অভিযোগ, দল ভারী করতে বাবাই ফোনে লোকজন ডেকে এনে মারধর শুরু করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবাই এবং অণিমা বৈদ্য নামে এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাবাই যে অভিযোগ করেছেন, সেখানে অণিমার বিরুদ্ধে গণ্ডগোলে শামিল থাকার অভিযোগ রয়েছে। দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy