প্রতীকী ছবি।
কোমরের ফোড়া নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বিল ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ২০০ টাকা! অভিযোগ, রোগীর স্বামী সরকারি কর্মী হওয়ায় স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও নগদ না পেলে চিকিৎসা করা যাবে না বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল। শেষে রোগীর মৃত্যুর পরে বলা হয়, নগদে বিল না মেটালে দেহ ছাড়া হবে না!
মৃত রোগীর পরিবারের এ রকমই একাধিক অভিযোগে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়াল গাঙ্গুলিবাগানের আইরিস হাসপাতালে। নেতাজিনগর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপেই রোগীর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা, বছর ষাটের রিনা চন্দ্রকে গত ১১ অগস্ট ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রোগীর পরিবার সূত্রের খবর, ফোড়া থেকে কোমরে পচন ধরেছিল রিনাদেবীর। ডায়াবিটিস থাকায় অস্ত্রোপচারের আগে কয়েক দিন তাঁকে সেই সংক্রান্ত ওষুধ দেওয়া হয়। ১৭ তারিখ অস্ত্রোপচারের তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু ভর্তির তিন দিনের মাথায় হাসপাতাল পরিবারকে জানায়, রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে আইসিইউ-তে ভেন্টিলেশনে রাখা হচ্ছে।
রোগীর বড় মেয়ে দীপান্বিতা সাহা বলেন, “১৬ তারিখ বাবাকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয়, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য কার্ডে কিছু হবে না। নগদ লাগবে। এই ফোনটা হাসপাতাল থেকে করা হল, পরের ফোন অন্য জায়গা থেকে আসবে। গত ১৯ তারিখ মাকে দেখতে গেলে বলা হয়, সে দিনই টাকা দিতে হবে, নয়তো চিকিৎসা বন্ধ করা হবে। হাসপাতাল থেকে ওই রোগীর কোনও ওষুধ যাবে না জানিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়।” পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের এক জন প্রায় ১১ হাজার টাকার ওষুধ বাইরে থেকে কিনে পৌঁছে দিতে গেলে তাঁকে আটকে রাখারও চেষ্টা হয়। ওই রাতে জানানো হয়, রোগী মারা গিয়েছেন।
এ দিন সকালে রিনাদেবীর দেহ নিতে গেলে পরিজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রোগীর পরিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের কাছেই একটি লিখিত অভিযোগ করে। যদিও আইরিস হাসপাতালের অপারেশন্স ম্যানেজার তীর্থঙ্কর ঘোষের দাবি, “তেমন কিছুই ঘটেনি। রোগীর পরিবার টাকা দিতে পারছে না বলেছে, সেটা আমরা বুঝেছি। চিকিৎসা বা ওষুধ বন্ধের কথা আমাদের কেউ বলতেই পারেন না। মৃতদেহ না-ছাড়ার ঘটনা কখনও এখানে ঘটে না।”
এ নিয়ে কথা বলতে বার বার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীকে ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy