Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ির পাশের পুকুরে উদ্ধার কিশোরীর দেহ

পনেরো বছরের এক কিশোরীর জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হল। ঘটনার পরে আক্রান্ত হয়েছেন কিশোরীর মা। রবিবার, পর্ণশ্রী থানা এলাকার রবীন্দ্রনগরের ঘটনা।

চুমকি মিস্ত্রি।

চুমকি মিস্ত্রি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৪
Share: Save:

পনেরো বছরের এক কিশোরীর জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হল। ঘটনার পরে আক্রান্ত হয়েছেন কিশোরীর মা। রবিবার, পর্ণশ্রী থানা এলাকার রবীন্দ্রনগরের ঘটনা।

পুলিশ জানায়, মৃত কিশোরীর নাম চুমকি মিস্ত্রি (১৫)। সে রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা। রবিবার গভীর রাতে চুমকির দেহ তার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। মাস ছয়েক আগেই তার বাবা মারা গিয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাবা মারা যাওয়ার পরে ওই কিশোরী মানসিক অবসাদে ভুগছিল। ফলে সে জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছে। তবে কিশোরীটিকে তার মা চামেলিদেবী বকাবকি করেছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সে কারণেও আত্মহত্যা করতে পারে বলেও প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।

পুলিশ জানায়, চুমকি বেহালার শ্যামসুন্দরী বিদ্যাপীঠে দশম শ্রেণিতে পড়ত। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সে বিছানার উপরে আনাজ কাটছিল। বিছানা নোংরা হতে পারে, এই ভেবে মেয়েকে বকাবকি করেন চামেলিদেবী। তিনি আয়ার কাজ করেন। বকাবকিতে মায়ের উপরে রাগ করে চুমকি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। মা-কে জানায়, মাসির বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু আধ ঘণ্টা পরে চামেলিদেবী জানতে পারেন, মেয়ে তখনও মাসির বাড়ি পৌঁছয়নি।

সোমবার চামেলিদেবী বলেন, ‘‘আনাজ কাটায় মেয়েকে বকাবকি করি। কিন্তু গায়ে হাত দিইনি। এর পরেই রাগ করে মাসির বাড়ি যাবে বলে মেয়ে বেরিয়ে যায়। আধ ঘণ্টা পরে দিদিকে ফোন করে জানতে পারি, চুমকি ওখানে যায়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এর পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়েকে খোঁজাখুজি শুরু করি। তখনই বাড়ির কাছে একটি পুকুরের সামনে মেয়ের চটি জোড়া দেখতে পাই।’’

ওই পুকুরের পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা দীপক দে মজুমদার বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তিন জন মহিলা পুকুরের পাশে এসে জানান, এক কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চপ্পলজোড়া দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পর্ণশ্রী থানায় খবর দিই।’’ এর পরে প্রথমে এলাকার দুই যুবক পুকুরে নামে। তবে কাউকে খুঁজে না পেয়ে খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। গভীর রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরি পুকুরে নেমে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে।

কিশোরীর মৃত্যুর পিছনে তার মা-কেই দায়ী করেছেন পরিবারের একাংশ। ওই ঘটনার পরে রবিবার পাড়ার লোকজন চামেলিদেবীকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। এর পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। চামেলিদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

DEath Girl Police Pond
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE