প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাচ্ছেন আরও এক অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দমবন্ধ’ পরিবেশের কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলা বিভাগের ওই অধ্যাপক হিমবন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি জানান, আগামী ৩১ অক্টোবর এই প্রতিষ্ঠান ছাড়তে চান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত বছরের নভেম্বরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর চেয়ার প্রফেসার পদ থেকে লিয়েন নিয়ে প্রেসিডেন্সিতে যোগ দিয়েছিলেন হিমবন্ত। ১১ নভেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তাঁর লিয়েন পুনর্নবীকরণ করা হোক, আর চাইছেন না হিমবন্তবাবু। বরং মেয়াদ শেষের আগেই প্রেসিডেন্সি ছেড়ে যেতে চাইছেন তিনি। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় বড্ড বেশি সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ ধাঁচের। খোলা পরিবেশের বদলে ইট, কাঠ, পাথর বেশি। এই পরিবেশে আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই পুরনো জায়গাতেই ফিরতে চাই।’’
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে সম্প্রতি একাধিক শিক্ষক প্রেসিডেন্সি ছেড়েছেন। পঠনপাঠনের থেকে অন্য বিষয়ে বেশি আলোচনা হওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন জগদীশচন্দ্র বসু চেয়ার প্রফেসার সব্যসাচী ভট্টাচার্য। কর্তৃপক্ষের ব্যবহারে অপমানিত হয়েছেন অভিযোগ করে এই প্রতিষ্ঠানের সংশ্রব ত্যাগ করেছেন ইতিহাসের শিক্ষিকা শুক্লা সান্যাল। তালিকাটি দীর্ঘ। হিমবন্তবাবু অবশ্য জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর কোনও দিন, কোনও বিষয়ে সমস্যা হয়নি।
বাংলার এই শিক্ষকের অভিমানী অনুযোগ, ‘‘প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরে ভেবেছিলাম সাহায্য করব। এখানে এসে মনে হল সেটার প্রয়োজন নেই। তবে পড়ুয়াদের মিস করব।’’
বাম জমানাতেই প্রেসিডেন্সি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নীত হয়েছে। নতুন সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিকাঠামোর দিক থেকে যে এখনও প্রেসিডেন্সি অনেক পিছিয়ে, তা স্বীকার করে শিক্ষা মহলের অনেকেই। শিক্ষকের আকালে জেরবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর পর শিক্ষকের ছেড়ে যাওয়া এবং বদলিতে ব্যতিব্যস্ত।
এই নিয়ে প্রশ্ন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উত্তর এড়িয়েছেন। উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেছেন, ‘‘আমি এখন ব্যস্ত। রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলুন।’’ আর রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘চিঠি আমার নজরে আসেনি। তাই কোনও মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy