—ফাইল চিত্র।
লাগাতার প্রচার এবং পুজোর আগে থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করতে অভিযানে নামায় শব্দতাণ্ডব সামগ্রিক ভাবে গত বছরের তুলনায় কমেছে বলে দাবি বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও কিছু এলাকার ছবিটা বদলায়নি বলেও অভিযোগ উঠছে।
মঙ্গলবার সল্টলেক-সহ বিধাননগর কমিশনারেটে সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এবং দশটার পর থেকে রাতভরের ছবির মধ্যে ফারাক রয়েছে বলেই দাবি বাসিন্দাদের। যদিও পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ২৮ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, গোলমাল পাকানো-সহ একাধিক অভিযোগে ১২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রেফতার হয়েছে ৭২ জন। ২৫৭টি ফানুস এবং ৩১৫ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২১টি শেল, ১৫ প্যাকেট চকলেট বোমা রয়েছে। পুলিশ জানায়, বিধাননগর পূর্ব, উত্তর, দক্ষিণ, ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এবং লেক টাউন থানা এলাকা থেকে তুলনায় বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ধরা পড়েছে।
তবে কালীপুজোর দিন শব্দদৌরাত্ম্য কমলেও দীপাবলির রাত না কাটলে আশঙ্কা কাটছে না প্রশাসনের। সল্টলেকের ১, ২ এবং ৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বাসিন্দারা বাজি পুড়িয়েছেন। সে সময়ে শব্দের দৌরাত্ম্য থাকলেও রাত দশটার পরে তা কমে। যদিও নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সেই ছবি ছিল না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের।
বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজির দাপট বেশ খানিকটা কমেছে। রাত দশটার পরে বাজি ফাটলেও তা বিক্ষিপ্ত ভাবে। যদিও এয়ারপোর্ট ডিভিশন এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, বিমানবন্দরের ন’কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবুও নিয়ম ভেঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে ফানুস উড়তে দেখা গিয়েছে। যদিও পুরোপুরি এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ‘‘বিমানবন্দর সংলগ্ন যে এলাকার মধ্যে ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ হয়েছিল, সেখান থেকেই যে তা ওড়ানো হয়েছে সেটা হাতেনাতে না ধরতে পারলে প্রমাণ করা মুশকিল। কারণ দূরের থেকেও হাওয়ার টানে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় ফানুস ঢুকে পড়তেই পারে।’’
তবে পুলিশ কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দের দাপট কিছুটা হলেও কমেছে। রাতভর পুলিশ তৎপর ছিল। অভিযোগ আসা মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এবং কড়া পদক্ষেপ করেছে।
পুলিশ জানায়, দীপাবলির রাতেও অভিযান বজায় থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy